এফএনএস: নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানের চাপায় বাজারের ৫ সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরোও অন্তত ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে রায়পুরা উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ মেশিনঘর এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে ফারুক মিয়া (৫০), মাহমুদাবাদ মিস্ত্রিবাড়ির তায়েব মিয়ার ছেলে মাসাকিন (৩৫), মাহমুদাবাদ টানপাড়া এলাকার সেন্টু মিয়ার ছেলে মো. রিপন মিয়া (৩০) ও মাহমুদাবাদ এলাকার পাগলা বাড়ির বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাজাহান মিয়া(৫০) ও মাহমুদাবাদ সর্দার বাড়ির জনাব আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৬৫)। ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সবজির হাট জমে। সকালে ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জননী কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যান মাহমুদাবাদ মেশিনঘর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি কাভার্ডভ্যান অতিক্রমের সময় ২টি কাভার্ডভ্যানই নিয়ন্ত্রণ হারায়। এদের একটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে মাহমুদাবাদ মেশিনঘর এলাকায় রাস্তার পাশে জমে থাকা সবজির হাটে ঢুকে পড়ে। এ সময় বেশ কিছু দোকান ও ইজিবাইককে চাপা দেয় কাভার্ডভ্যানটি। এতে ৫ সবজি বিক্রেতা নিহত হন। এ ব্যাপারে ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ আজিজুল হক বলেন, দুইটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিকে চলে যায়। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করি। ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন জানান, সকালে মহাসড়কের মহামুদাবাদে নিয়ন্ত্রণ হারানো কাভার্ডভ্যানের চাপায় ঘটনাস্থলে তিন জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো ২ জন নিহত হন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চালক ঘুমিয়ে পাড়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।