প্রতাপনগর (আশাশুনি) প্রতিনিধিঃ নরসিংদী ইটভাটায় শ্রমিকের শরীরে পাশবিক নির্যাতন ও ছুরিকাঘাত পরিবারের হস্তক্ষেপে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার হলো প্রতাপনগর কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের হযরত আলী। গরীব যেন মানুষই নয়। দারিদ্রতা ঘোচাতে শ্রমিক হিসাবে ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করে হাজারো মানুষ। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাঁদা মাটি, ধূলা বালি মেখে দেশের উন্নয়নে এবং সংসার চালাতে সাতক্ষীরা জেলা আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন থেকে নরসিংদী জেলার ইটভাটায় শ্রমীকের কাজে যান কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের ওমর আলী ঢালীর পুত্র হযরত আলী। স্থানীয় সূত্রে ঘটনার বিবরণ সুত্রে জানাগেছে কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের আরশাদ আলী মোলার পুত্র খোকন মোলার সাথে নরসিংদী জেলার হাসনাবাদ বাজার এলাকার একটি ইট ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজে যান হযরত আলী। ভাটায় কর্মরত অবস্থায় মোবাইল চুরির মিথ্যা অভিযোগে শত্রুতামূলক ভাটা সরদার খোকন মোলার ভাগ্নে প্রতাপনগরের চাকলা গ্রামের মুকুলের পুত্র মিঠুন ও আরশাদ আলী মোলার পুত্র মিল সরদারের ভাই রাশেদ যোগসাজশ করে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সরল মনে ডেকে নিয়ে হযরত আলীকে প্রথমে মারপিট করে। হামলাকারীরা এতে ক্ষান্ত না হলে ধারালো ছুরি দিয়ে ভাটা শ্রমিক হযরত আলীর পিঠে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আহত হযরত আলী জীবন বাঁচাতে দৌড়ে মিল বাসায় গিয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে হযরত আলীকে স্থানীয় পলী চিকিৎসকের কাছে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসায় ছুরিকাঘাতের ক্ষত স্থানে ৪৭ টি সেলাই দেওয়া হয়। এঘটনা ধামাচাপা দিতে হযরতের বাড়িতে সংবাদ দিলে নরসিংদীতে তার লাশ গুম করা হবে বলে জানায় হামলাকারী মিঠুন ও রাশেদ। দুইদিন পর এ খবর হযরতের মা জানতে পেরে সন্তানের খোঁজে নরশিংদীর হাসনাবাদ এলাকায় চলে যান তিনি। অনেক কষ্টে ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে আহত হযরত আলীকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন তার মা। হযরতের অবস্থা শংকামুক্ত না হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। অসহায় পরিবারটি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং ন্যায় বিচার পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।