এফএনএস বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের পক্ষে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার পর থেকে একের পর এক বিবৃতি প্রদান করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাজনৈতিক বিশ্লষকদের মতে, জো বাইডেন তার চার বছরের ক্ষমতাকালীন সময়ের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তগুলো মোকাবিলা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সময় শনিবার ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে হামলার পর থেকেই জো বাইডেন দেশের জনগণকে একতাবদ্ধ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য আহবান জানান। ওভাল অফিস থেকে রোববার দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের একমাত্র লক্ষ্য ঐক্যবদ্ধ থাকা। একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই হতে পারে না। আমরা এটা করতে পারি।’ জো বাইডেন আরও বলেন, ‘আমাদের মতানৈক্য থাকতেই পারে এবং নির্বাচনের সময় আবেগ যতই প্রবল হোক না কেন, রাজনীতি যেন কখনোই সহিংসতার অংশ না হয়। এখন আমরা যে সিদ্ধান্ত নিব তা আগামী কয়েক দশক ধরে আমেরিকা ও বিশ্বের ভবিষ্যৎকে গঠন করবে। রাজনীতি কখনোই যুদ্ধক্ষেত্র বা হত্যার ক্ষেত্র হওয়া উচিত নয়। আমি মনে করি, রাজনীতি হবে শান্তিপূর্ণ আলোচনার ক্ষেত্র। আমেরিকার রাজনীতি সহিংসতা ও ক্রোধের নয় বরং শালীনতা ও অনুগ্রহের।’ জো বাইডেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, ধারণা যেন কখনই সহিংসতায় রূপ না নেয়। বুলেটের মাধ্যমে নয়, ব্যালট বাক্স যেন পার্থক্য তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্রকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা জনগণের হাতে, কোনো হত্যাকারীর হাতে নয়।’ জো বাইডেন ভাষণে আরও বলেন, ‘হত্যাকারীর উদ্দেশ্য কী ছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়। তার প্রতি কারো সমর্থন ও সাহায্য ছিল কিনা সেটিও পরিষ্কার নয়। আমাদের আজ কী করতে হবে, তা নিয়ে কথা বলব। একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, একজন আমেরিকান নাগরিক তার পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। জনগণ কখনোই সহিংসতার পথে হাঁটতে রাজী নয়। যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার কোনো জায়গা নেই, আমরা রুখে দাঁড়াবো সবসময় সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে। আমরা শান্ত ও একতাবদ্ধ থাকব। যাই হোক না কেন, আমার মতের সাথে আপনাদের মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু আমরা কেউ কারো শত্রু নই, আমরা একে অপরের বন্ধু, প্রতিবেশি, সহকর্মী এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।’