ফরিদুল কবির, মথুরেশপুর থেকে \ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভীতির মধ্যে কেটেছে গত ২ বছরের ঈদের কেনাকাটা। তবে এবারের চিত্রটা ভিন্ন। পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে দক্ষিণ অঞ্চলের বৃহৎ ঐতিহ্যবাহী নাজিমগঞ্জ বাজারে আগেভাগেই জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সোমবার বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছিল ক্রেতাদের ভিড়, বেচাকেনাও ছিল বেশ ভালো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসময় কাপড়ের পাইকারি বাজার হিসেবে সুখ্যাতি থাকলেও সময়ের ব্যবধানে খুচরা কেনাকাটার জন্যও নাজিমগঞ্জ বাজার সুনাম কুড়াচ্ছে। কম দামে ভাল পণ্যের জন্য ক্রেতাদের পছন্দের বাজার এটি। এখানে ছোট বড় দোকানের সংখ্যা প্রায় ৪৫০টি। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রমজান শুরুর আগে থেকেই ঢাকা, বঙ্গবাজার, পাবনা ও বাবুর হাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আকর্ষনিও ডিজাইনের কাপড় সহ বিভিন্ন তৈরি পোশাক আমদানি করে নতুন সাজে দোকানগুলো সাজিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ঈদ ঘিরে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে সকাল থেকে সিট কাপড়, তৈরি পোশাক ও জুতোর দোকানগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে তীব্র গরমে ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পালা দিয়ে লাগানো হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। তবে বাজারে গাইন লিমিটেড, রাজ শপিং সেন্টার, ভিআইপি ফ্যাশন টার্চ (বাজার কলকাতা), সাইদুর বস্ত্রালয়, রূপসী বাংলা, দাশ ক্লথ ষ্টোর, এম রহমান বস্ত্র বিতান, মায়ের দোয়া বস্ত্রালয়, পায়েল শপিং সেন্টার, আহছানিয়া বস্ত্র বিতাণ, রিপন ফ্যাশন ওয়ার ক্রেতাদের বাড়তি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বলে জানা গেছে। শ্যামনগর থেকে কেনাকাটা করতে আসা চাকুরীজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি। গত ২ বছরের তুলনায় এবছর মার্কেটে ভিড় বাড়তে পারে। তাই এবার একটু আগেভাগে এসেছি। তবে কাপড়ের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী রফিকুরজ্জামান রুমি, উত্তম কুমার বলেন, বিগত দুই বছর ব্যবসায়ীরা এক প্রকার সংকটকাল কাটিয়েছে। করোনার কারণে একেবারে ব্যবসা হয়নি বললেই চলে। কিন্তু এবার বেচাকেনায় স্বাভাবিকতা আসতে শুরু করেছে। অনেকে আগেভাগে কেনাকাটা করতে মার্কেটে আসছেন। এ বিষয়ে নাজিমগঞ্জ হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুল হাকিম বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসায় মন্দা ছিল। এখন করোনার প্রাদুর্ভাব কমেছে। তবে এ বছর বাজারে নিত্যপণ্যের দাম একটু চড়া। তারপরেও গত দুই বছর ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়েছে। আশা করছি, এবার ব্যবসায়ীরা ঈদ ঘিরে লাভের মুখ দেখবেন।