ফরিদুল কবির, মথুরেশপুর থেকে \ আর মাত্র কয়েকদিন পর থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কালিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী নাজিমগঞ্জ বাজারে শেষ সময়ে জমে উঠেছে পূজার কেনাকাটা। ক্রেতাদের পাশাপাশি ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারাও। শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী নাজিমগঞ্জ বাজারে বস্ত্র বিপণী বিতানগুলোতে নতুন পোশাকে সাজানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাজারে নারীদের জন্য বিভিন্ন রংয়ের কাঞ্জিবরন শাড়ি, কাতান শাড়ি, রাজশাহী সিল্ক, পুষ্পা শাড়ি, বালুচরী শাড়ি, জামদানি সিল্ক শাড়ি, বেনারশি শাড়ি, শারারা, গাউন, স্কার্ট ও লেহেঙ্গার চাহিদা রয়েছে। আবার পুরুষদের বাহারি সব ডিজাইনের ধুতি, বোম্বে শার্ট, বোম্বে জিন্স প্যান্ট, পাঞ্জাবি, টি- শার্ট, আড়ং পাঞ্জাবি, রুপকথা পাঞ্জাবি ইত্যাদি। শিশুদের পোশাকের বিক্রিও কমতি নেই। তাছাড়াও জুতার দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। উৎসবের রঙ লাল-সাদাকে প্রধান্য দিয়ে বাহারী ডিজাইনের পছন্দের পণ্য কিনতে ভিড় করছেন সব বয়সী ক্রেতারা। বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষণীয়। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার পণ্যের দাম একটু বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতাসাধারণ। শ্যামনগর থেকে আসা মিতা রাণী নামের এক ক্রেতা বলেন, কেনাকাটা করতে কিছু বাকি ছিলো সেগুলো কিনতেই নাজিমগঞ্জ বাজারে এসেছি। নিজের ও পরিবারের সবার জন্য নতুন পোশাক কিনেছি। এবার জুতার দোকানে কেনাকাটা করবো। শিক্ষক বিলাস চন্দ্র রায় নামে এক ক্রেতা জানান, পূজোর কেনাকাটা করতে স্ত্রীকে নিয়ে মার্কেটে এসেছি। বাজার ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করছেন। নিজের ও ছেলের জন্য শার্ট ও প্যান্ট নিয়েছেন। কেনাকাটা শেষ এখন স্ত্রীর জন্য শাড়ি দেখছেন। কালিগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার ঘোষ বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গত বছরের চেয়ে এবছর অনেক সাচ্ছন্দে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে। যে যার সামর্থ অনুযায়ী বেশ কেনাকাটা করছে। উপজেলায় ৫২টি পূজা মন্ডপে দূর্গোৎসব হবে। ১ অক্টোবর শুরু হওয়া এই আয়োজন ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।