শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

নাপোলিকে হতাশায় ডুবিয়ে শেষ চারে মিলান

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩

এফএনএস স্পোর্টস: অনেক চেষ্টার পর ম্যাচ শেষের ৯০ সেকেন্ড বাকি থাকতে গোলের দেখা পেল নাপোলি। নিভু নিভু আশা তাতে জাগল নতুন করে, তবে তা কেবলই ক্ষণিকের জন্য। সেরি আয় শিরোপা জয়ের পথে ছুটে চলা দলটিকে পেছনে ফেলে ঠিকই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিল এসি মিলান। দিয়েগো আরমান্দো মারাদোনা স্টেডিয়ামে গত মঙ্গলবার শেষ আটের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয়ে ২-১ অগ্রগামিতায় শেষ চারে পা রাখল মিলান। নাপোলির প্রবল আক্রমণ সামলে অলিভিয়ে জিরুদের গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় মিলান। চলতি মৌসুমে তারা নাপোলির বিপক্ষে টানা তৃতীয় জয়ের পথে ছিল। শেষ সময়ে ভিক্টর ওসিমহেনের গোলে হার এড়ালেও বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় স্বাগতিকদের। ১৬ বছরের মধ্যে প্রথমবার সেমি-ফাইনালে উঠল মিলানের দলটি। যেকোনো মূল্যে গোল চাই- সেই লক্ষ্যে শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর প্রবল চাপ তৈরি করে নাপোলি। করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। প্রথম ২০ মিনিটেই গোলের উদ্দেশ্যে ছয়টি শট নেয় তারা, যদিও কাজে লাগেনি একটিও। উল্টো ২১তম মিনিটে বক্সে রাফায়েল লেয়াওকে নাপোলি ডিফেন্ডার মারিও রুইকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মিলান। কিন্তু জিরুদের স্পট কিক দারুণ নৈপুণ্যে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আলেক্স মেরেত। ২০১২ সালের পর এই প্রথম স্পট কিকে গোল করতে ব্যর্থ হলেন জিরুদ। সবশেষ ওই বছরের সেপ্টেম্বরে লিগ কাপে আর্সেনালের হয়ে কভেন্ট্রির বিপক্ষে ৬-১ ব্যবধানের জয়ে পেনাল্টি মিস করেছিলেন তিনি। ২৭তম মিনিটে আবারও জিরুদকে হতাশ করেন মেরেত। ডি-বক্সে জটলার মধ্যে একজনকে কাটিয়ে ফরাসি ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট কোনোমতে পা দিয়ে ফেরান ইটালিয়ান গোলরক্ষক। লক্ষ্যে তৃতীয় শট নিয়ে আর ব্যর্থ হননি জিরুদ। ৪৩তম মিনিটে গোলটির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা আছে লেয়াওয়ের। নিজেদের সীমানা থেকে বল পায়ে দ্রæত ছুটে কয়েকজনের চ্যালেঞ্জ সামলে ছয় গজ বক্সে বল বাড়ান পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড, বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি জিরুদ। বিরতির পর নাপোলির আক্রমণের ধার কমে আসে। মুহুর্মুহু আক্রশণ শাণালেও প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না তারা। ৮০তম মিনিটে মিলানের ডি-বক্সে তাদের ডিফেন্ডার ফিকায়ো তোমোরির হাতে বল লাগলে সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় নাপোলি। কিন্তু জর্জিয়ান ফরোয়ার্ড খাভিচা কাভারাৎসখেলিয়ার পেনাল্টি শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে হেডে নাটকীয়তা জাগানো গোলটি করেন নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার ওসিমহেন। শেষ পর্যন্ত যদিও তা কেবল সান্ত¡নাসূচক গোলই হয়ে থাকে। পাঁচ বছর পর ইতালির প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠল প্রতিযোগিতাটির সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তারা খেলবে বেনফিকা ও ইন্টার মিলানের মধ্যে বিজয়ীর বিপক্ষে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com