এফএনএস বিদেশ : নারী নির্যাতনের দুইটি ঘটনায় উত্তাল ভারতের ঝাড়খন্ড। বিয়ের প্রস্তাব খারিজ করার পর ১৯ বছরের মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আর এক বিজেপি নেত্রী তার বাড়ির কাজের মেয়েকে অকথ্য নির্যাতন করেছে। দুমকায় অঙ্কিতা নামের একটি মেয়ের পিছনে পড়েছিল একটি ছেলে। অঙ্কিতাকে সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু অঙ্কিতা তাতে রাজি হয়নি। অঙ্কিতা যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন ছেলেটি তার বাড়িতে ঢোকে, তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে ছয়দিন ধরে লড়াই করার পর গত রোববার অঙ্কিতা মারা যান। পুলিশ ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করে। এরপর শুরু হয় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ। আর স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলি দাবি করে, ধর্মীয় কারণে এই হত্যা করা হয়েছে। কারণ, ছেলেটি মুসলিম। এই অভিযোগ নিয়ে সা¤প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিরোধী দলের অভিযোগ, অঙ্কিতার মৃত্যু ঝাড়খন্ডের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা কতটা খারাপ তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ”অঙ্কিতা হত্যার ঘটনা আমাদের লজ্জায় মাথা হেঁট করে দিয়েছে।” বিজেপি নেত্রী গ্রেপ্তার ঝাড়খন্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্র ও তার অবসরপ্রাপ্ত আইএএস স্বামী মিলে বাড়ির কাজের মেয়ের উপর অকথ্য অত্যাচার করে। দিনের পর দিন সীমা ওই কাজের মেয়ে সুনীতাকে লোহার রড দিয়ে মারত, লোহার তাওয়া দিয়ে পেটাত। মারের চোটে তার দাঁত ভেঙে যায়। তার সারা দেহে মারের চিহ্ন রয়েছে। ২৯ বছর বয়সি সীমাকে বেশ কিছুদিন ধরে তারা নির্যাতন করে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সীমার বাড়ি যায় এবং সেখান থেকে সুনীতাকে উদ্ধার করে। সীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুনীতাকে রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর বিজেপি সীমাকে বরখাস্ত করেছে। ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল রমেশ ব্যাস প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশ কেন এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি!