এফএনএস স্পোর্টস: নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৭১ রানে হারিয়ে সপ্তমবার চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে অ্যালিসা হিলি একাই খেলেছেন ১৭০ রানের ইনিংস। জবাবে ৪৩.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এতে ৭১ রানে হেরে যায় ইংলিশরা। রোববার ক্রাইস্টচার্চে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন অজি দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি ও রাচেল হেইনস। তাদের প্রথম জুটি থেকেই আসে ১৬০ রান। রাচেল ৬৮ রানে করে ফিরে গেলেও অন্য প্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন হিলি। তার সাথে সঙ্গী হন বেথ মুনি। তবে বেথও আউট হন ৬২ রানে। বেথ ও হিলির জুটি থেকে আসে ১৫৭ রান। অ্যালিসা হিলি যখন ১৭০ রানে ফিরে যান তখন স্কোর বোর্ডে তিন শতাধিক রান জমা পড়েছে। ১৩৮ বল মোকাবিলায় সাজানো তার ইনিংসটিতে ছিল ২৬টি চারের মার। এটি যেকোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে (নারী-পুরুষ মিলিয়ে) ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের স্কোর। হিলি ফেরার পর অন্য ব্যাটাররা নেমে তেমন কিছু করতে না পারলেও বড় সংগ্রহ নিয়েই ইনিংস বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট পেয়েছেন অ্যানা শোরুবসোলে। এছাড়াও এক উইকেট পান সোফি একলেস্টোন। জবাবে ইংল্যান্ডও সমানতালে লড়তে থাকেন। ন্যাট সিভার ১৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১২১ বলে সাজানো তার ইনিংসটিতে ছিল ১৫টি চার ও একটি ছক্কার মার। কিন্তু সতীর্থ ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলকে জেতাতে পারেননি। ৪৩.৪ ওভারে ২৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংলিশরা। দলটির পক্ষে তাম্মি বিউমন্ট ২৭, হেথার নাইট ২৬, সুফি ডান্কলি ২২, চারলি ডিন ২১ ও অ্যামি জোনস ২০ রান করেন। ম্যাচসেরা ও টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন অ্যালিসা হ্যালি। তিনি পুরো টুর্নামেন্টে ৫০৯ রান করেছেন।