এফএনএস স্পোর্টস: লর্ডস টেস্টের শুরুটা দেখে কে ভেবেছিল, হারের শঙ্কায় থাকা ইংল্যান্ড শেষটা এভাবে জয়ে রাঙাবে। অবিশ্বাস্য সেই কাজটি করা গেছে জো রুটের অপ্রতিরোধ্য সেঞ্চুরিতে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা। তাতে বেন স্টোকস-ব্রেন্ডন ম্যাককালাম যুগের শুরুটাও হলো সাফল্যে। এই পরাজয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বটেস্ট চ্যাম্পিয়নদের ৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ধারাতে ছেদ পড়লো। সিরিজের প্রথম টেস্টটা ইংলিশদের দিকে হেলে যায় গতকালকেই। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৭৭ রানের জবাবে রুটরা ৫ উইকেটে ২১৬ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল। ফলে চতুর্থ দিন জয়ের জন্য দরকার ছিল আর ৬১ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে যেভাবে টপ অর্ডারে ধস নেমেছিল। তাতে কিউইদের জয়ের সম্ভাবনাও বাতিল করে দেওয়া যাচ্ছিল না। ৬৯ রানে ইংল্যান্ডের ৪ উইকেট তুলে ম্যাচটা রোমাঞ্চকর বানিয়ে দিয়েছিল। শুরু থেকে দাপট দেখানো পেসাররা এরপর স্টোকস-রুটের তুমুল প্রতিরোধের মুখে পড়ে। এই জুটিতেই ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। দুজনে মিলে যোগ করেন ৯০ রান। ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকস ৫৪ রানে ফিরলেও সমস্যা হয়নি। রুট গতকাল থেকে একপ্রান্ত আগলে বেন ফোকসকে নিয়ে আজ গড়েন ১২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। এই ষষ্ঠ উইকেট জুটিতেই নিশ্চিত হয়েছে ইংল্যান্ডের অবিশ্বাস্য জয়। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক রুট ২৬তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। অপরাজিত ছিলেন ১১৫ রানে। তার ১৭০ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার। সঙ্গী ফোকস অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে। অবশ্য মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় একটা চ্যালেঞ্জও ছিল এদিন। সেই চ্যালেঞ্জ উতরাতে টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন রুট। সঙ্গে গড়েছেন কীর্তিও। অ্যালিস্টার কুকের পর দ্বিতীয় ইংলিশ ব্যাটার হিসেবে পূরণ করেন ১০ হাজার রান। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড: ৪০ ওভারে ১৩২ (গ্র্যান্ডহোম ৪২*; অ্যান্ডারসন ৪/৬৬, পটস ৪/১৩) ও ৯১.৩ ওভারে ২৮৫ (মিচেল ১০৮, ব্লান্ডেল ৯৬; পটস ৩/৫৫, ব্রড ৩/৭৬, অ্যান্ডারসন ২/৫৭)। ইংল্যান্ড: ৪২.৫ ওভারে ১৪১ (ক্রলি ৪৩, লিস ২৫; সাউদি ৪/৫৫, বোল্ট ৩/২১, জেমিসন ২/২০) ও ৭৮.৫ ওভারে ২৭৯/৫ (রুট ১১৫*, স্টোকস ৫৪, ফোকস ৩২*; জেমিসন ৪/৭৯)।