জাকির হাসানের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি—টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। টুর্নামেন্টে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে গতকাল রোববার সিলেট ৮ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর গত ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিলো সিলেট। ৫ ম্যাচে ২ জয় ও ৩ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে আছে সিলেট। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে ২টি করে জয়—হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে আছে খুলনা। প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর টানা দুই খেলায় হারলো খুলনা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্স। স্কোর বোর্ডে ১৫ রান উঠতেই ২ উইকেট হারায় সিলেট। রাকিম কর্নওয়াল ৪ ও জর্জ মুনসি ২ রানে ফিরেন। শুরুর চাপে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২১ রান সংগ্রহ করে সিলেট। পাওয়ার প্লে শেষ হবার পর রানের গতি বাড়ান সিলেটের আরেক ওপেনার রনি তালুকদার ও উইকেটরক্ষক জাকির হাসান। এতে ১০ ওভার শেষে ৬৫ রান পায় সিলেট। ১৩তম ওভারে দলের রান ১শ’তে নেন রনি ও জাকির। ছক্কা মেরে ২৯তম বলে টি—টোয়েন্টিতে নবম হাফ—সেঞ্চুরি করেন জাকির। চার মেরে ৩৯ বলে ১৩তম হাফ—সেঞ্চুরির দেখা পান রনি। ১৫তম ওভারে রনিকে শিকার করে খুলনাকে ব্রেক—থ্রু এনে দেন পেসার আবু হায়দার। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ বলে ৫৬ রান করেন রনি। তৃতীয় উইকেটে জাকিরের সাথে ৬২ বলে ১০৬ রানের জুটি গড়েন রনি। দলীয় ১২১ রানে রনি ফেরার পর অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ১১ বলে ২৯ এবং অধিনায়ক আরিফুল হকের সাথে ২২ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন জাকির। এতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। জাকির ৪৬ বলে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কার সহায়তায় অপরাজিত ৭৫ রান করেন। ৩টি ছক্কায় জোন্স ২০ এবং ১টি করে চার—ছক্কায় ১৩ বলে অনবদ্য ২১ রান করেন আরিফুল। আবু হায়দার ও জিয়াউর রহমান ২টি করে উইকেট নেন। ১৮৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ৪৭ রান তুলে খুলনা। মোহাম্মদ নাইম ১১, ইমরুল কায়েস ২ ও দারউইশ রাসুলি ১৫ রানে আউট হন। এরপর ছোট—ছোট জুটিতে খুলনাকে লড়াইয়ে রাখেন ওপেনার উইলিয়াম বোসিসতো, অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। বোসিসতো ৪৩, মিরাজ ১৫ ও নাওয়াজ ১৮ বলে ৩৩ রানের উপর ভর করে ১৬ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৩০ রান তুলে খুলনা। শেষ ৪ ওভারে ৫৩ রান দরকার ছিল খুলনার। ৩ ওভারে ৩৪ রান তুললে শেষ ওভারে খুলনার সামনে জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ১৯ রান। কিন্তু শেষ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০ রানের বেশি তুলতে পারেনি খুলনা। শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করে দলের হার রুখতে পারেননি ১৬ বলে ২৮ রান করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তানজিম—রিচ টপলি ও রুয়েল মিয়া ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জাকির।