এফএনএস স্পোর্টস: দলে খুব বড় কোনো তারকা নেই স্পেনের। সবশেষ দুই বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। কাতার বিশ্বকাপে বাজির দরে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে তাই মাতামাতি একটু কমই। দলটির তরুণ মিডফিল্ডার পেদ্রি অবশ্য তাদের সম্ভাবনা নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত। বৈশ্বিক আসরে নিজেদের ফেভারিটের কাতারেই দেখছেন তিনি। ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী স্পেনের জন্য পরের দুটি আসর ছিল ব্যর্থতার গল্প। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্র“প পর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা। চার বছর পর রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় স্বাগতিকদের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে যায় দলটি। তবে গত কয়েক বছরে কোচ লুইস এনরিকের হাত ধরে অনেকটাই বদলে গেছে স্পেন। পেদ্রি, গাভিসহ একঝাঁক তরুণ ফুটবলারকে নিয়ে গড়া দলে তিনি ফিরিয়ে এনেছেন বল দখলে রেখে খেলার ধরন। ২০০৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভিসেন্তে দেল বস্ক স্পেনের কোচ থাকার সময় ধরনটি বেশ আলোচিত হয়েছিল। সাফল্যও মিলেছিল। ২০১০ বিশ্বকাপের আগে ও পরে ২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল দেশটি। এনরিকের স্পেন অবশ্য এখনও তেমন কিছু জিততে পারেনি। তবে ইউরো ২০২০ এর সেমি-ফাইনালে খেলা স্পেন নেশন্স লিগের গত আসরে হয় রানার্স-আপ। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে নিজেদের ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী পেদ্রি। বার্সেলোনা ভিত্তিক সংবাদপত্র স্পোর্ত-এ মঙ্গলবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে তাদের পক্ষে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব। “সম্ভবত আমাদের কাছ থেকে লোকেরা খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করছে না। তারা আমাদের ফেভারিটের তালিকায়ও রাখছে না, তবে দলের ভেতর আমরা নিজেদের ফেভারিট হিসেবেই দেখছি।” “কিছু না করে তো আমরা পদক পাব না। নিজেদের কাজটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে সুযোগ আসবেই।” আগামী নভেম্বরে ২০ বছরে পা দিতে যাওয়া পেদ্রি স্পেনের হয়ে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১২ ম্যাচ। জাতীয় দলের মতো ক্লাব বার্সেলোনারও মাঝমাঠের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। জাতীয় দলের হয়ে চ‚ড়ান্ত সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে কাতালান ক্লাবটির জার্সিতেও সম্ভাব্য সব শিরোপা জিততে চান দারুণ প্রতিভাবান এই ফুটবলার। “বার্সা ও জাতীয় দলে সবসময় চাপ থাকে। আমাকে সেটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে, শান্ত থাকতে হবে এবং উপভোগ করতে হবে।” “এখানে (স্পেন) ও বার্সায় আমাদের সবদিক থেকে পরিপূর্ণ দল রয়েছে। আমরা এমনভাবে কাজ করছি যাতে মৌসুমের শেষে আমরা সবই জিততে পারি।” আগামী ২৩ নভেম্বর কোস্টা রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে স্পেনের বিশ্বকাপ অভিযান। ‘ই’ গ্র“পে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ জার্মানি ও জাপান।