এফএনএস বিদেশ : খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় একজন পাকিস্তানি সেনা শহীদ এবং ১২ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা এ তথ্য জানিয়েছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ৫—৬ ফেব্রুয়ারি উত্তর ওয়ারিস্তানের হাসান খেলের জেনারেল এলাকায় গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। ওই অভিযানে ১২ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তুমুল গোলাগুলিতে ল্যান্স নায়েক মুহাম্মদ ইব্রাহিম নিহত হয়েছেন। অভিযানের সময় অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট কিলিংয়ে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।’ সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা আরো জানিয়েছে, ‘বাকি সন্ত্রাসীকে নির্মূল করার জন্য অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং আমাদের সাহসী সেনাদের এ ধরনের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরো শক্তিশালী করেছে।’ ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে দেশটিতে সহিংস হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (পিআইসিএসএস) কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র হয়েছে। যা আগের মাসের তুলনায় ৪২শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গেছে, দেশব্যাপী কমপক্ষে ৭৪টি সন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে ৯১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৫ জন নিরাপত্তা কর্মী, ২০ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৩৬ জন সন্ত্রাসী। আরো ১১৭ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫৩ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ১০ জন সন্ত্রাসী। কেপি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ, তার পরেই রয়েছে বেলুচিস্তান। কেপির বসতিপূর্ণ জেলাগুলিতে সন্ত্রাসীরা ২৭টি হামলা চালিয়েছে, যার ফলে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জন নিরাপত্তা কর্মী, ছয়জন বেসামরিক নাগরিক এবং দুইজন সন্ত্রাসী।
কেপির (পূর্ববর্তী ফাটা) উপজাতীয় জেলাগুলোতে ১৯টি হামলা চালিয়েছে, যার ফলে ৪৬ জন নিহত হয়েছে। বেলুচিস্তানেও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, কমপক্ষে ২৪টি হামলা হয়েছে এবং ২৬ জন নিহত হয়েছে। এই মাসে বেলুচিস্তানে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলাও হয়েছে। নিষিদ্ধ তেহরিক—ই—তালেবান পাকিস্তান একটির দায় স্বীকার করেছে। অন্যদিকে নিষিদ্ধ বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি অন্যটির দায় স্বীকার করেছে। সূত্র: জিও নিউজ