এফএনএস: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা দিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংস্থাটির রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সিইসির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। আমাদের মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে। অন্তর্বতীর্ সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আমি এখানে সহায়তার বার্তা নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশের এই অতি গুরুৎপূর্ণ সময়ে ইসিকে কী সহায়তা করতে পারে ইইউ, সিইসির কাছে সেটাও জানতে চেয়েছি। বৈঠকে পর সিইসি বলেছেন, ওনারা জানতে চেয়েছেন গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য যে নির্বাচন হবে, তার জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত আছি। আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, ভোটার নিবন্ধন থেকে আরম্ভ করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যে প্রস্তুতি তার টাইমলাইন কীরকম হবে ইত্যাদি জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় ওনারা সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। ওনারা চান যে ডেমোক্রেটিক ট্রানজেশনটা হোক। এই পথে যতটুকু সহায়তা দরকার ওনারা সহায়তা করবেন। তারা কী ধরনের সহায়তা দেবেন জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ওনারা লোক পাঠাবেন। পর্যালোচনা করে পরে আমাদের জানাবেন। ওনাদের মিশন আসবে। নির্বাচন হলে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আশ্বস্ত করেছি সুষ্ঠু নির্বাচনের। কেননা, আমরা তো সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য। তিনি আরও বলেন, আমাদের যে প্রতিশ্রুতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, এতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। এই কথা তাদের বলেছি। তারা খুশি হয়েছেন। আমরা যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি, এটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তারা বলছেন, যে সংস্কারের জন্য সময়টা খুব কম হয়ে যাচ্ছে। তারা সংস্কারের ওপর গুরুত্ব বেশি দিচ্ছেন। তবে তারা প্রেসার নয়, সাজেশন দিচ্ছেন। সিইসি বলেন, আমাদের মতামত আমরা দিয়েছি। সংবিধান আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, সেটা যেন গ্যারান্টেড থাকে, সেটা ওনাদের জানিয়েছি। ইসির স্বাধীনতা কে¤প্রামাইজ হোক, এটা আমরা চাই না। তারা এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন যে, ইসি শুড বি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। অন্যথায় জাতি যা প্রত্যাশা করে, সেটা তারা দিতে পারবে না। সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, উনারা জানতে চেয়েছেন গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য যে নির্বাচন হবে তার জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত আছি। আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, ভোটার নিবন্ধন থেকে আরম্ভ করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যে প্রস্তুতি তার টাইমলাইন কী রকম হবে ইত্যাদি জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় উনারা সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। উনারা চান যে ডেমোক্রেটিক ট্রানজেকশনটা হোক। এই পথে যতটুকু সহায়তা দরকার উনারা সহায়তা করবেন। কী ধরনের সহায়তা দেবেন জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, উনারা লোক পাঠাবেন। পর্যালোচনা করে পরে আমাদের জানাবেন। উনাদের মিশন আসবে। নির্বাচন হলে তারা চাচ্ছেন পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে। আশ্বস্ত করেছি সুষ্ঠু নির্বাচনের। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুজন গণতন্ত্র বিশেষজ্ঞ।