কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার কলারোয়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং-খুলনা-৭৬০) এর কার্যনিবার্হী কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন উপলক্ষে নামমাত্র তফফিল ঘোষনা করে পকেট কমিটি তৈরী করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে । এমনকি এ ঘটনায় যেকোন মুহুর্তে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের রুপ নিতে পারে বলে শ্রমিকদের এক অংশের নেতা মোক্তার আলী জানান। এদিকে এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার কলারোয়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিক নেতা সাবেক সভাপতি জিল্লুর হাসান, বর্তমান নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আলী, সদস্য রিয়াজুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর হোসেন বাদি হয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, কলারোয়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিমিত্তে গত ২২ মে-২৪ তফসিল ঘোষনা করা হয়। সে অনুযায়ী ১০ ও ১১ জুন বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মনোনয়ন বিতরণের জন্য দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু ওই তারিখ ও সময়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দপ্তর বন্ধ থাকায় অভিযোগকারীরাসহ অনেকেই মনোনয়ন পত্র ক্রয় করতে পারেনি। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু’র নিকট তারা চাইলে তিনি জানান, আপনাদের মনোনয়নপত্র আমার পকেটে রয়েছে। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন সুরাহ হয়নি। পরে তারা জানতে পারলেন নির্বাচন কমিশনরা গোপন ব্যালটে নিবাচন না করে কিছু সংখ্যাক শ্রমিককে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত করা হয়েছে। যারা নাকি আগামী ২৯ জুলাই শপথ গ্রহন করবেন। এ ঘটনার পর শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যা যেকোন সময় শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের রুপ নিতে পারে। এমতাবস্থায়, বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় গঠিত পকেট কমিটি বাতিল করে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে শ্রমিক নেতা নির্বাচনের জন্য জোর দাবি জানানো হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশিনার সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু বলে, কলারোয়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এর কার্যনিবার্হী কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন উপলক্ষে তফসিল ঘোষনাসহ সকল কাজ বিধি মোতাবেক সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগটি আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বিধি এবং ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের বিধান মোতাবেক নিস্পত্তি করে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে চিটি দেওয়া হয়েছে।