এম এম নুর আলম ॥ সরকারি আইন ও নীতিমালার তোয়াক্কা না করে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার। এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক শত দোকানে দেদারছে চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল এলপি গ্যাস বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া কোনও দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না। ২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে তবে তার তিন বছরের কারাদন্ড ও অতিরিক্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে। কিন্তু এই আইন কেউই মানছেন না। উপজেলার প্রত্যেক জায়গায় চায়ের দোকানগুলোতে বসলেই দেখা যায় গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার। উক্ত চায়ের দোকানগুলোতে বেশিরভাগ সিলিন্ডার গুলো রাখা হয়েছে একেবারেই চুলার পাশে, যেকোনো সময় বড় ধরনের অগ্নিকান্ড ঘটার আশংকা আছে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি দোকানে লক্ষ করা গেছে গ্যাসের সিলিন্ডারের পাশে বসেই ধুমপান করার দৃশ্য। সিলিন্ডারের পাশেই ম্যাচ ঠুকিয়ে জ্বালানো হয় সিগারেট, ম্যাচের কাঠিটা আগুন সহ ফেলানো হয় সিলিন্ডারের পাশেই। ফলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার অনেকটা বোমার মতো, গ্যাস বিক্রি করতে হলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকতে হবে, তা না হলে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারবে না। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।