এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে ॥ শ্যামনগর উপজেলার নূরনগরে প্রধান সড়কের পাশে নবনির্মিত পানি নিষ্কাশন ড্রেন নোংরা ও জলবদ্ধতায় ডেঙ্গুর আশঙ্কা, আতঙ্কে এলাকাবাসী ও পদচারী সাধারণ মানুষ। সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, নূরনগর মৎস্য সেট হতে নূরনগর দাসপাড়া (ঋষিপাড়া) পর্যন্ত নবনির্মিত ১৮ ফুট প্রশস্ত রাস্তা ও উভয়পাশে ৩ ফুট পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মিত হয়েছে। এই ড্রেনের উভয় পাশে চায়ের দোকান, মুদি দোকান, ঔষধের দোকান, রড-সিমেন্টের দোকান, সার-কীটনাশকের দোকান, ইলেক্ট্রনিকের দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী দোকান অবস্থিত। এসমস্ত দোকান মালিকদের উদাসীনতায় ও গাফিলতায় উক্ত পানি নিষ্কাশন ড্রেনে তাদের দোকানের যাবতীয় ময়লা এবং মালামালের বজ্য ফেলে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করছে। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় সহজে দোকানে প্রবেশ করার জন্য ড্রেনে মাটি ভারাট করে রাস্তা তৈরি করেছে। এর ফলে বর্ষার পানি নিষ্কাশন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ড্রেনে পানি জমে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে এর ফলে ড্রেনগুলো এডিস মশার লাভা তৈরির কারখানা হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তর প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন কার্যক্রম ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই আলোকে স্থানীয় নূরননগর ইউনিয়ন পরিষদ সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং করা সহ লিফলেট বিতরণ করেছে। কিন্তু রাস্তার দুইপাশের দোকানদারদের উদাসীনতায় তাদের দোকানের ময়লা আবর্জনা ফেলে ড্রেন বন্ধ করে রাখায় পানি নিষ্কাশন হওয়া তো দূরের কথা ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তারের সাহায্য করছে। রাত দিন সব সময় মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সহ পথচারীদের মধ্যে ডেঙ্গুর আতঙ্ক বিরাজ করছে। ড্রেনের পচা দুর্গন্ধে রোগ আক্রান্ত সহ পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এবিষয়ে নূরনগর ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মাইকিং ও সচেতনার জন্য লিফলেট বিতরণ করেছি। ইদানিং কিছু দোকানদার ড্রেনের সামনে ময়লা বজ্য ফেলে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। আমি ইতিমধ্যে ওই সমস্ত দোকানদারদের তাদের দোকানের সামনের ময়লা স্ব স্ব দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য বলে দিয়েছি। আগামীকাল অর্থাৎ আজ সোমবার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে তাদেরকে আবারো ময়লা অপসারণ করতে বলবো। অপসারণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে এলাকাবাসী অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের ময়লা অপসারণ পূর্বক ড্রেনের পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে এবং ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে।