এফএনএস স্পোর্টস: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার খেলতে গেছে কুয়েত। প্রথম ম্যাচেই দারুণ সূচনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। ‘এ’ গ্রæপে গতবারের রানার্সআপ নেপালকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তারা। কুয়েত যে তাদের চেয়ে শক্তিশালী দল সেটা প্রমাণ করে তাদের র্যাঙ্কিং। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৪৩তম স্থানে রয়েছে কুয়েত, নেপালের অবস্থান ১৭৪তম। ফলে বুধবার ভারতের বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তীরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে কুয়েত আক্রমণেও এগিয়ে ছিল। তাতে ২৩ মিনিটে প্রথম গোল করে এগিয়ে যায় তারা। সতীর্থের কর্নারে গোলকিপার কিরণ পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও বলের নাগাল পাননি। অন্য প্রান্তে ফাঁকায় দাঁড়ানো খালেদ হাজিয়া সহজেই লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলা নেপাল কোনোভাবেই কুয়েতকে আটকে রাখতে পারেনি। ৩৬ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে আলখায়েবির জোরালো হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে না আসলে কুয়েতের ব্যবধান তখনই দ্বিগুণ হতে পারতো। ৪২ মিনিটে অবশ্য ঠিকই তারা ব্যবধান দ্বিগুণ করেছে। সতীর্থের পাসে শাবাইব আলখাইদি ৬ গজ দূরত্বে থেকে গড়ানো শটে জাল কাঁপিয়ে স্কোর ২-০ করেছেন। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে ড্রেসিংরুম থেকে ফিরে এসে খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করে নেপাল। ৫৭ মিনিটে ভালো সুযোগও পেয়েছিল। কিন্তু অঞ্জন বিষ্টার ক্রসে ফাঁকায় থাকা সারিস শ্রেষ্ঠার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশ হতে হয় তাদের। নেপালের ব্যর্থতায় কুয়েত ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় ৬৫ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে স্কোর ৩-০ করে তারা। একজন ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলে বাংলাদেশের রেফারি আলমগীর সরকার স্পট কিকের নির্দেশন দেন। তা থেকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ লক্ষ্যভেদ করে নেপালকে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দিয়েছেন। ৬৮ মিনিটে অবশ্য প্রতি আক্রমণ থেকে এক গোল শোধ দেয় নেপাল। তাতে ম্যাচে ফিরতে পারেনি যদিও। অঞ্জন বিষ্টা বক্সের ভেতরে ঢুকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে প্লেসিং করেছেন। তার পর কুয়েত ৩-১ স্কোরলাইন ধরে রেখে মাঠ ছেড়েছে। ২৪ জুন পাকিস্তান ও কুয়েত এবং ভারত ও নেপাল মুখোমুখি হবে।