ষ্টাফ রিপোর্টার \ দেশের প্রাথমিক শিক্ষাই জাতি গঠনে এবং শিক্ষিত সমাজ বিনির্মানের মহাক্ষেত্র, আর এই শিক্ষায় যারা কর্মরত তারা নিশ্চই ভাগ্যবান, কারন সৃষ্টিকর্তা তাদের এই সুযোগ দিয়েছেন। যে সকল শিক্ষা বিভাগীয় কর্মকর্তা বা শিক্ষক যথাযথ দায়িক্ত পালন করেন তারা সত্যিকর অর্থে মহান। এই প্রতিবেদন গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রাথমিকের এক প্রধান শিক্ষকের অসুস্থ ছাএীর খোজখবর নিতে ফল নিয়ে ছাএীর বাসায় যাওয়া কে কেন্দ্র করে। শহরের অনতিদুরের দুরের গ্রাম নেহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা তার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিক্ষর্থী কাজলের অসুস্থতার খবরে পায়ে হেটে চললেন তার বাড়ীর উদ্দেশ্যে ফল আর নতুন স্কুল ব্যাগ ও নিলেন। পৌছালেন আদরের কন্যাতুল্য ছাএী কাজলের বাসায়। পরম মমতায় আদর,স্নেহ আর সহমর্মিতার আবেগে অনুযোগে একাকার হয়ে জানান দিলেন তিনি তার কন্যার কাছে, পাশে। কাজল সহ কাজল পরিবার অনন্য অসাধারন বিস্ময়ের সাথে প্রত্যক্ষ করলেন হেড ম্যাডাম তাদের বাড়ীতে তার কন্যার শয্যাপাশে। এ দৃশ্য অভাবনীয় আবার পরম মমত্ব বোধ আর দায়িক্তশীলতার প্রতিমুখ। পুরো পরিবার প্রধান শিক্ষকের আগমনে তার সংস্পর্শে উপস্থিত হলেন। শহর হতে দুরের নেহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এই গ্রাম টির সৌন্দর্য আর বিদ্যালয় টির সৃষ্টিশীলতার বরপুত্র পৌছেছে। সেই সৃষ্টিশীল, শিক্ষাবীদ এক সময়ের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষর্থী রেবেকা সুলতানা। তিনি শিক্ষকতায় নিজেকে আপদমস্তক বিলিয়ে জাতি গঠনে অতন্ত্র প্রহরী।সারা বাংলাদেশ নেহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর নেহালপুরের ন্যায় অলো ঝলমলে গ্রমে পরিণত হোক।