এফএনএস: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে আব্দুর রহমান হৃদয় (২৪) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। গত শনিবার রাত পৌনে ১২টার উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আব্দুর রহমান হৃদয় উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার সেলিমের ছেলে। তিনি পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রি ছিলেন। নিহতের ছোট ভাই রিফাত বলেন, ‘আমার বড় ভাই হৃদয়ের বন্ধু আশিকের কাছ থেকে কিছুদিন আগে ৫ হাজার টাকা ধার নেয় চৌমুহনী পৌরসভার গোলাবাড়ি এলাকার শাহ আলমের ছেলে বাবু (৩৫)। এরপর টাকা ফেরত চাইলে বাবু টালবাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে বাবুর বড় ভাই রনিকে বিষয়টি আশিক জানায়। এতে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার রাতে আশিকের বন্ধু হোসেন ও সাগরকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে। রাত সোয়া ১১টার দিকে বিষয়টি জানতে পারে আমার ভাই হৃদয়। খবর পেয়ে তিনি সমবয়সী কাকা রাসেলকে নিয়ে হোসেন ও সাগরকে উদ্ধার করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পথে তারা চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের সামনে পৌঁছলে বাবুর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবু হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে। একই সময়ে রাসেলকেও ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হসপিটালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন।চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। রাসেল নামে আরেক যুবক অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’