কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥ প্রতীক বরাদ্দের আগেই ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে জনসভা ও প্রচারনা চলানোর অভিযোগে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, কেশবপুর, যশোর এর কাছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জি এম হাসান গত ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আগামী ৭ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে’ অংশ গ্রহনের জন্য গত ৩ ডিসেম্বর, ২০০৩ তারিখে যাচাই অন্তে জিএম হাসান জাতীয় পার্টির ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে চুড়ান্তভাবে মনোনীত হন। ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ প্রতীক বরাদ্দের দিন। প্রতীক বরাদ্দের আগেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক প্রার্থী জনাব শাহীন চাকদার নির্বাচনী বিধিমালা লংঘন করে কেশবপুরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী জনসভা ও কমিটি গঠন করে চলেছেন। ৩ ডিসেম্বর (রবিবার) সাতবাড়িয়া বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে জনসভা করে জনগণকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি প্রদানের কথা বলেছেন বলে সাধারন মানুষের কাছ থেকে জানতে পেরে জি এম হাসান তার অভিযোগে দাবী করেছেন। তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে প্রতীক বরাদ্দের আগেই জনাব শাহীন চাকলাদারের নির্বাচনী বিধিমালা লংঘন করায় আমরা শংকিত আছি। কেশবপুর নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর আগাম ইংগিত হিসেবে জনগণের মুখে শোনা যাচ্ছে। জনগণের পক্ষ থেকে আমরা জাতীয় পার্টি এর তীব্র নিন্দা জানানো সহ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে নির্বাচন আচরন বিধি অনুযায়ী জনাব শাহীন চাকলাদারের প্রার্থীতা আপনার মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসার, ৯০ যশোর-৬ (জেলা প্রশাসক, যশোর) এর দ্বারায় বাতিল ঘোষনার দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় আমি আট উপজেলার জাতীয় পার্টির সমন্বয়কারী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সরকারী প্রভাবমুক্ত নহে মনে করে নির্বাচন থেকে বর্জন/প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবো। যশোরের বিভিন্ন উপজেলা আমার দলও প্রত্যাহার করবেন আশা করছি। এবিষয়ে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার তুহিন হোসেন বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।