দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ সুন্দরবন, সুন্দরবনই। বিশ্বের অনন্য অসাধারন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি, আর এই সুন্দরবনের গর্বিত অংশিদার বাংলাদেশ। বিশ্ব বিভূইয়ে আমাদের দেশ বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা ভোগ করছে। দিনে দিনে সুন্দরবনের সুন্দরতম অনেকদুর এগিয়েছে আর তাই পর্যটকদের আনাগোনা অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা সুন্দরবনকে করে তুলেছে অনন্য অসাধারন। সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে দেশে পর্যটন শিল্পের বিশেষ বিকাশ হতে চলেছে। দেশের পর্যটকরা চিত্তবিনোদন আর অবসর যাপনে রাঙ্গামাটি সিলেট, কক্সবাজার, সহ অপরাপর এলাকা ভ্রমন করে, কিন্তু বাস্তবতা হলো সুন্দরবনের ন্যায় এমন নৈসঙ্গিক, সৌন্দর্য আর প্রকৃতির অফুরন্ত সুনসান অন্য কোথাও মেলা ভার, আর তাই সুন্দরবনই হোক পর্যটকদের জন্য মূলস্রোত এমনই সময়ের বাস্তবতা। বিশাল সুন্দরবনের প্রতিটি প্রান্তর প্রকৃতির অপরুপ দান, আসছে ঈদে দীর্ঘছুটি কাটাতে তাই পর্যটকদের জন্য কাঙ্খিত স্থান হতে পারে সুন্দরবন। প্রকৃতির সব ধরনের রুপ,রস, সৌন্দর্য্য অপরুপ সৃষ্টি সুন্দরবন সম্পর্কে সাতক্ষীরা, খুলনা সহ এই অঞ্চলের মানুষের আগ্রহ আর পরিদর্শনে বিশেষ ভাটা লক্ষনীয়। আর তাই ঈদ সহ অপরাপর ছুটিতে এবং ভ্রমনের জন্য সুন্দরবনের প্রতি খুব বেশী আগ্রহ দেখা যায় না। কিন্তু সুন্দরবন প্রতিমুহুর্তে আমাদের ডাকছে, সদা উদার আর জাগ্রত সুন্দরবন চাইছে তার পানে, এ যেন সেই পক্তির প্রতিধ্বনি দেখিতে গিয়েছিলাম সিন্ধু, দেখিতে গিয়েছিলম পবর্তমালা দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া একটি ঘাসের উপর একফোটা শিশির বিন্দু। সত্যই দেশ বিদেশের দর্শনীয় স্থান যতটুকু না মন ভোলাতে পারে, মন জুড়াতে পারে, দেখার আ উপভোগের সম্মিলন ঘটাতে না পারে প্রকৃতির রাজ্য সুন্দরবন তা পারে। নিকট অতীতে সুন্দরবনকে পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষন আর ভ্রমনের জন্য নতুন ভাবে সেজেছে। বনের মধ্যে বন, বনে প্রবেশে বনের জীব চৈচিত্র, বিশ্ববাসিকে, দেশবাসিকে পর্যটকদেরকে আকাশ নীলা উদাত্ত আহবান জানাচ্ছে আমার পানে আসো। আকাশ নিলা যেন অমর কবি জীবনান্দদাসের সেই মুখস্মৃতি আর প্রেমমমতার বাসর। সুুউচ্চ টাওয়ার যার উপর উঠলে দিগন্ত বিস্তৃত সুন্দরবনের অদৃশ্য, অদেখা সৌন্দর্য্য পরখ করা যায়, বিশ্রামাগার, পর্যটকদের থাকা খাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা, নানান ধরনের মাছ, প্রাণীর সমাহার, কৃত্রিম বনের আবরন সবই পর্যটকদের জন্য। সড়ক পথে সুন্দরবন ভ্রমনের ক্ষেত্রে অনেক পর্যটকদের অজানা, কিন্তু সড়ক পথে সুন্দরবন ভ্রমন ঝামেলা মুক্ত। রাজধানী ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম সহ উত্তরবঙ্গর সাথে বর্তমানে সরাসরি শ্যামনগর মুন্সিগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ, বিধায় সড়ক পথে সুন্দরবন ভ্রমনই সর্বেসর্বা. নৌ পথেও সুন্দরবন যাওয়া সম্ভব, আমাদের প্রিয় সুন্দরবনের প্রতি আমাদেরকে অধিকতর মোহ ও আগ্রহ থাকতে হবে, সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের অগ্রযাত্রা হলে তা এ অঞ্চলকেই অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, দেশ রাজস্ব উপার্জন করবে দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা বাড়বে। সুন্দরবন কেন্দ্রীক অর্থনীতির সুখকর হাওয়া বইবে। আসুন এবারের ঈদের ছুটিতে, ঈদ আনন্দ উপভোগে সুন্দরবনকেই বেছে নেই।