নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটছে তো ছুটছেই। সবজি বাজার হতে মুদি এবং নির্মান সামগ্রী সর্বত্র মূল্য বৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতা আর এই মূল্য বৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতার কারন হেতু জন সাধারনের মাঝে হতাশা নেমে এসেছে। সাতক্ষীরার বাজার ব্যবস্থায় সবজি বাজারের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি অতীতের সব ধরনের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কেয়কদিন পূর্বেও আলুর বাজার ছিল সহনীয় কিন্তু বর্তমানে সাতক্ষীরা বাজার গুলোতে আলু প্রতি কেজি ১৬/১৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক মূল্য বৃদ্ধির জোয়ারে ভাসছে। খেরাই প্রতিকেজি পঞ্চাশ টাকা একই ভাবে ঢেড়স প্রতিকেজি একশত টাকা, মেটো আলু কেজি প্রতি পঞ্চাশ টাকা, মিস্টি কুমড়া কেজি প্রতি ৩০টাকা, পুইশাকের মাঝারী আকারের এক তাড়ি বিশটাকা, এখানেই শেষ নয় পোল্ট্রী মুরগীর মূল্য বৃদ্ধির অসহনীয় যাত্রা অতিক্রম করছে। সোনালী মুরগীর মূল্যও চড়া, গরু আর খাসির মাংস দিনে দিনে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যেতে বসেছে। ভোজ্য তেল, চিনি, আটা, ময়দা হতে শুরু করে মসলার মুল্য গত কয়েক দিনের ব্যবধানে ঝাজ শুরু হয়েছে। সাধারন শ্রেনি বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন বাজার ব্যবস্থায় মুল্য বৃদ্ধির কারনে এক ধরনের হতাশায় ভুগছে। নির্মান সামগ্রীর মুল্য ও থেমে নেই। অতি স¤প্রতি রডে টন প্রতি চৌদ্দ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্ম আয়ের মানুষ গুলো অস্থির জীবন যাপন করছে। মুল্য বৃদ্ধির এই অসহনীয় পরিবেশ পরিস্থিতির কল্যানে জন মানুষ যখন খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছে সেই সময় গুলোতে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা মুল্য বৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সাতক্ষীরার একেক বাজারে পন্য সামগ্রীর ভিন্ন ভিন্ন মূল্য যে কারনেও সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে ক্রেতারা। অবিলম্বে বাজারে বাজারে বিশেষ নজরদারীর নিশ্চিত করতে হবে।