এফএনএস: পদ্মা সেতুতে চলবে না ২৭ টনের বেশি ওজনের যানবাহন। আগামী মাস (জানুয়ারি) থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস। তিনি জানান, এরইমধ্যে সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে শেষ হয়েছে ইলেকট্রিক সেন্সর নিয়ন্ত্রিত ওজন মাপার ওয়েস্কেল বসানোর কাজ। তিন লেনের ওয়েস্কেলের নির্মাণ কাজ শেষে চলছে পরীক্ষামূলক পরিমাপ। ২৭ টনের বেশি ওজনের যানবাহনের পদ্মা সেতু পারাপারের কোনো সুযোগ থাকবে না। তাই জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে থেকেই ওয়েস্কেলে ওজন পরিমাপ শুরুর চিন্তা রয়েছে আমাদের। ডিজিটাল এই পদ্ধতিতে দাঁড়াতে হবে না কোনো গাড়িকে। চলতি পথেই হবে ওজনের পরিমাপ। জাজিরা প্রান্তে দায়িত্বে থাকা স্টকইয়ার্ড সুপারভাইজার আবদুল করিম বলেন, ২০ ডিসেম্বর থেকে পদ্মা সেতু পার হতে জাজিরা প্রান্তে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসা প্রতিটি পণ্যবাহী যানবাহনকে পরীক্ষামূলকভাবে টোল প্লাজার আগে নির্ধারিত তিনটি আলাদা লেনে ওয়েস্কেলে আসতে হচ্ছে। ইলেকট্রিক সেন্সর ও সড়কে থাকা ওজন পরিমাপের বিশেষ ডিভাইসের ওপর দিয়ে পার হতে হচ্ছে ওয়েস্কেলের বিশেষ লেন। ২৭ টন পর্যন্ত ওজন বহনকারী যানবাহন টোল পরিশোধ করে গ্রিন জোন দিয়ে সরাসরি পার হবে পদ্মা সেতু। আর বেশি ওজন বহনকারী যানবাহন রেড জোন দিয়ে চলে যাবে টোল প্লাজার পাশে নির্মিত স্টকইয়ার্ডে। তিনি বলেন, স্টকইয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওজন কমিয়ে পুনরায় ওয়েস্কেলে ওজন পরিমাপ শেষে গ্রিন জোন দিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে হবে যানবাহনগুলোকে। কয়েকজন ট্রাকচালক জানান, রাস্তার দু’প্রান্তেই আমাদের ট্রাকের ওজন মাপা হয়েছে। এমনকি কত স্পিডে চালাচ্ছি তাও মেশিনে ওঠে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে দেখা যায়, টোল প্লাজার আগে ওজন পরিমাপ করতে নির্ধারিত তিনটি আলাদা লেনের ওয়েস্কেলে সিরিয়ালে আসছে পণ্যবাহী যানবাহন। যানবাহনের প্রকৃত ওজন প্রদর্শিত হচ্ছে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে। ওজন বা গতি বেশি হলে বেজে উঠছে সাইরেন। সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েস্কেল বসিয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে পদ্মা সেতুতে এতদিন ওজন স্বয়ংক্রিয় পরিমাপের ব্যবস্থা না থাকায় সব ধরনের যানবাহন পারাপার করা হয়েছে।