এফএনএস : খোলার প্রথম দিনে শত শত মোটর সাইকেলের ভিড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় পদ্মা সেতুতে এই দ্বিচক্রযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোববার সকালে বহু প্রতীক্ষিত এই সেতু চালুর পর রাতেই মোটর সাইকেলের ওঠা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানায় সেতু বিভাগ। এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, “২৭ জুন ২০২২, সোমবার ভোর ৬টা থেকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।” এর কারণ জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, “পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল অনেক বেড়ে গেছে, তারা ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছি। তাই আগামীকাল থেকে মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।” কত দিন এই নিষেধাজ্ঞা চলবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুতে বাইসাইকেল, অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও মোটর সাইকেল চলাচলে বাধা ছিল না। বাইকের জন্য ১০০ টাকা টোলও নির্ধারিত হয়েছিল। শনিবার উদ্বোধনের পর রোববার সকাল ৬টায় খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু। তখন থেকেই মোটর সাইকেলের ঢল নামে। সন্ধ্যায়ও প্রচুর মোটর সাইকেলকে সেতুতে ওঠার অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। মোটর বাইকের আরোহীরা সেতুর উপর উঠে দল বেঁধে, আনন্দ-উল−াস আর হৈ-হুলে−াড়ে মেতে ছিল দিনভর। এর মধ্যে একটি বাইক দুর্ঘটনার খবরও আসে সোশাল মিডিয়ায়। এক পর্যায়ে সেতু বিভাগ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, সেতুর উপর গাড়ি থামানো কিংবা হাঁটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এদিকে আরেক তথ্য বিবরণীতে সবাইকে নির্ধারিত টোল দিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠতে বলা হয়েছে। তাতে আরও বলা হয়, “পদ্মা সেতুর উপর সকল ধরনের যানবাহন থামানো, হেঁটে চলাচল করা ও ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ।” পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হল। সেই জনপদের কাছে তাই এটি ‘স্বপ্নের সেতু’।