এফএনএস: পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে মোটরসাইকেলের ঢল নেমেছে। একইসঙ্গে মানুষের ¯্রােত দেখা গেছে। অন্যান্য যানবাহনের চাপ ছিল লক্ষ্যণীয়। গতকাল রোববার বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ জাজিরা প্রান্তে জড়ো হন। এ সময় জাজিরা প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ জাজিরা প্রান্তে আসেন। এ সময় দর্শনার্থীরাও সেতুর পাড়ে জড়ো হন। এতে বাস-ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ। একই সময়ে সেতুর ছয় লেনে টোল আদায়কারী কর্মীদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার কিছু দূরে মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় অনেক চালককে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেকেই মোটরসাইকেলে সেতু পার হচ্ছেন। টোল পরিশোধের সময় কথা হয় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের আরোহীদের সঙ্গে। তারা জানান, সেতু পার হতে মোটরসাইকেলে জনপ্রতি দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা এবং দুজন যাত্রী ছাড়া মোটরসাইকেলও ছাড়ছেন না তারা। একা যেতে চাইলে ভাড়া দিতে হচ্ছে ৪০০ টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, সেতুর জাজিরা প্রান্তে মানুষ ও যানবাহনের চেয়ে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি। এজন্য নিরাপত্তা দিয়ে সেতু পারাপারে তাদের সহায়তা করছে পুলিশ। তবে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি। পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মোটরসাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তা দিয়ে সেতু পারাপারে সহায়তা করা হচ্ছে। মোটরসাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে সেতু দেখতে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে যেসব দর্শনার্থী সেতুতে উঠে ছবি তুলছেন তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে কয়েক বার অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। এখনও অভিযান চলছে।’ এদিকে, পদ্মা সেতুতে চলাচলে বেশ কিছু নির্দেশনা থাকলেও তা মানেননি উৎসুক মানুষজন। গতকাল রোববার নিয়ম ভেঙে সেতুতে গাড়ি থামিয়ে অবস্থান, হেঁটে বেড়ানো, ছবি তুলতে দেখা গেছে অনেককে। এ অবস্থায় পদ্মা সেতুতে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেতুর ওপরে উঠে কেউ ছবি তুললে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহেল।