এফএনএস: পদ্মা সেতুর কারণে দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে, যা পদ্মা সেতুর ব্যয়ের প্রায় তিনগুণ বেশি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সংলাপে এ কথা বলেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান। জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব শীর্ষক এ সংলাপে অংশ নেন অর্থনীতিবিদরা। ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের বিষয়। এটি শুধু সেতুই নয়, পদ্মা সেতু হবে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। সংলাপে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পদ্মা ছিল কীর্তিনাশা পদ্মা, এখন হয়ে যাবে কীর্তিমান পদ্মা। এর ওপর দিয়ে আমাদের নতুন সফলতা গাঁথা হবে। তৈরি হবে নতুন ইতিহাস। পদ্মা সেতুর নামকরণ নিয়ে তিনি বলেন, পাথরে না লিখে হৃদয়ে লেখা হোক না শেখ হাসিনার নাম। পদ্মা সেতু যতদিন থাকবে, আমরা এই নাম হৃদয়ে নিয়েই চলে যাবো। টিপু মুনশি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দাবায়ে রাখতে পারবা না। তার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু একই সুরে বলেছিলেন, ‘বন্ধ করতে পারবা না। বিশ্বব্যাংক অনেক কথা বললো, টাকা দিলা না তোমরা। কিন্তু আমরা অতিক্রম করবোই।’ সেই সাহস, তেজদীপ্ত ঘোষণাই আজকের পদ্মা সেতু। সংলাপ সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক এফবিসিসিআই সভাপতি ও সংসদ সদস্য আলমগীর মহিউদ্দিন, বিটিএমইএ সভাপতি ও সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী এবং আওয়ামী লীগের শিল্প বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। সংলাপে প্যানেলিস্ট আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদ বখত, ড. জামালউদ্দীন আহমেদ ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক।