এফএনএস: আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ ও নামের বিষয়টি পরিষ্কার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। পদ্মা সেতু নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আগামী পাঁচ-ছয়দিনের মধ্যে বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন। পদ্মা সেতু জুন মাসের শেষে উদ্বোধন হচ্ছে, এটা তো উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেই দিয়েছেন। আমরাও রেডি আছি ইনশালাহ। আশা করি, জুনের শেষ সপ্তাহের আগেই ব্রিজ রেডি হয়ে যাবে। উদ্বোধনের তারিখটা এখনো নির্ধারিত হয়নি। ডেটটা ধরে রাখেন জুনের শেষ দিকের কোনো একদিন, যেদিন উনি কমফোর্ট ফিল করবেন। অনেক জিনিস দেখতে হয়, সেগুলো দেখে আমরা আশা করি শেষ সপ্তাহের আগেই সেতু রেডি করে দিতে পারবো। পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়েছে বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। পদ্মা সেতুর নাম কি হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘পদ্মা সেতু’, ‘পদ্মা সেতু’ই হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে যে কোনো সময় ক্লিয়ার করবেন। পদ্মা সেতুর টোল অনেক বেশি এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যখনই যেখানে ব্রিজ নির্মাণ করে স্ট্যান্ডার্ড হলো ফেরির ১ দশমিক ৫ শতাংশ টোল (যেমন- ফেরিতে ১০০ টাকা হলে ব্রিজে ১৫০ টাকা) ধরা হয়। সেটা ধরেই করা হয়েছে। এরপরও সরকার যদি মনে করে এটা বেশি হয়েছে…। অনেকে পদ্মা সেতুকে বঙ্গবন্ধু সেতুর সঙ্গে তুলনা করে। বঙ্গবন্ধু সেতু হলো ৫ কিলোমিটার, আর পদ্মা সেতু হলো ৯ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার। প্রায় দ্বিগুণ। পদ্মা সেতুর টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে ১ শতাংশ হারে সুদে সরকারকে ফেরত দিতে হবে। সুতরাং সেতু কর্তৃপক্ষকে ওই জায়গা থেকে টাকা উপার্জন করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পৃথিবীর কোথাও এই ধরনের স্থাপনার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পয়সা না দিয়ে যাওয়ার কোনো সিস্টেম নেই। তিনি বলেন, ফিজিবিলিটি স্টাডিতে যেমন ছিল যে, ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে টাকাটা (পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়) উঠে আসবে। এখন মনে হচ্ছে ১৬-১৭ বছরের মধ্যেই টাকাটা উঠে আসবে। ওই পাড়ের যেসব কাজকর্ম এবং যেগুলো আছে সেগুলো ফিজিবিলিটি স্টাডিতে আসেনি। মোংলা পোর্ট যে এত স্ট্রং হবে পায়রা বন্দর হবে, এত শিল্পায়ন হবে- এগুলো কিন্তু আসেনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ধারণা ছিল পদ্মা সেতু ১ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আনবে। এটা ২-এর কাছাকাছি চলে যাবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে।