এফএনএস স্পোর্টস: ম্যাচ শুরু হতেই গোল খেয়ে বসল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো সহ নিয়মিতদের অনেককে বাইরে রেখে খেলতে নামা পর্তুগাল। ব্যবধান ঘোচাতে মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ করল তারা। সুযোগও মিলল অনেক। কিন্তু সুইস গোলরক্ষক জোনাস ওমলিনের দেয়াল ভাঙতে পারলেন না কেউ। এবারের নেশন্স লিগে প্রথম জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ল সুইজারল্যান্ড। জেনেভায় রোববার রাতে ‘এ’ লিগের ২ নম্বর গ্র“পের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। একমাত্র গোলটি করেন হারিস সেফেরোভিচ। মাঝমাঠে দুই আর আক্রমণভাগের তিনে তিন, সব মিলিয়ে একাদশে মোট সাতটি পরিবর্তন এনে খেলতে নামে পর্তুগাল। এমন ঢালাও রদবদল কী প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা অবশ্য বুঝে ওঠার আগেই গোল খেয়ে বসে তারা। ঘড়ির কাটা ৫৫ সেকেন্ড পার হতেই পর্তুগালের জালে বল! ম্যাচের প্রথম আক্রমণেই ডান দিক থেকে ছয় গজ বক্সের মুখে দারুণ ক্রস বাড়ান সিলভান উইডমার। লাফিয়ে কোনাকুনি হেডে গোলটি করেন সেফেরোভিচ। ত্রয়োদশ মিনিটে আরও বড় বিপদে পড়তে পারত পর্তুগিজরা। তাদের ডি-বক্সে ডিফেন্ডার নুনো মেন্দেসের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তার আগেই অবশ্য বের্নার্দো সিলভার থেকে বল কাড়ার প্রচেষ্টায় সুইজারল্যান্ডের নিকো এলভেদি ফাউল করেছিলেন, ভিএআরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি। একাদশে চারটি পরিবর্তন এনে খেলতে নামা সুইজারল্যান্ড ২২তম মিনিটে আরেকটি বদল আনতে বাধ্য হয়। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার জেরদান শাচিরি। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে মেন্দেসের পাস ধরে আন্দ্রে সিলভার নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। ৬২তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ পেয়েও হারান সেফেরোভিচ। তার বাঁ পায়ের শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপরই বদলি নামেন পর্তুগালের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার বের্নার্দো সিলভা। মাঠে নেমেই দারুণ এক আক্রমণ শানান তিনি। বল পায়ে কিছুটা এগিয়ে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট নেন তিনি। তবে শটটা গোলরক্ষকের আয়ত্তে¡র বাইরে রাখতে পারেননি অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার। প্রবল চাপ ধরে রাখা পর্তুগাল ৭২তম মিনিটে পায় আরেকটি ভালো সুযোগ। এবার গনসালো গেদেসের কোনাকুনি শট কোনোমতে ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখানে গোলরক্ষক ওমলিন। পাঁচ মিনিট পর দিয়োগো জটার হেডও ঠেকিয়ে দেন তিনি। প্রথম দেখায় সুইসদের ৪-০ গোলে হারানো পর্তুগাল বাকি সময়েও একইভাবে আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু হার এড়ানোর মতো কিছুই করতে পারেনি তারা। বলা ভালো, তাদের তা করতে দেননি ওমলিন। বল দখলে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি আক্রমণে পর্তুগাল কতটা একচেটিয়া আধিপত্য করেছে, তার প্রমাণ ম্যাচ পরিসংখ্যানেও পরিষ্কার। পুরো ম্যাচে ওই একটি গোলসহ সুইসরা পাঁচ শট নিয়ে মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে, দুটিই সেফেরোভিচের। সেখানে পর্তুগিজদের গোলের উদ্দেশ্যে নেওয়া ২০ শটের মধ্যে লক্ষ্যে আটটি। এই হারে গ্র“পের শীর্ষস্থান হারিয়েছে পর্তুগাল। চার রাউন্ড শেষে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে তারা। দিনের আরেক ম্যাচে চেক রিপাবলিককে ২-০ গোলে হারানো স্পেন ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। তিন নম্বরে চেক রিপাবলিকের পয়েন্ট ৪। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে সুইজারল্যান্ড।