মাটি পানি ভাল না থাকলে মানবকুল ভাল থাকবে না এটাই স্বাভাবিক, মানুষ সহ সব শ্রেনির প্রাণি কুলের অবস্থান ভূ-খন্ডে তথা মাটিতে। আর তাই মাটি পানিকে মানব সমাজের জন্য উপযুক্ত, যুগোপোযোগী রাখার বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা আমাদের অজান্তেই বা জানাই প্রতিনিয়ত পলিথিন ব্যাগ, পলিথিন ও প্লাষ্টিক সামগ্রী ব্যবহার পরবর্তি মাটি ও পানিতে ফেলে মাটি ও পানিকে দৃশ্যতঃ দুষন করে চলেছি। আর মাটি দুষনের ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে ও মাটি ক্ষয় হচ্ছে একই সাথে পানি চরম ভাবে দূষনে পরিপূর্ণতা অর্জন করছে। পলিথিন ও প্লাষ্টিক বর্জ্য পানি শোষণ কারী নয় যেমন অনুরুপ ভাবে তার মধ্যে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না যে কারনে কোন ভাবেই পলিথিন ও প্লাষ্টিক বর্জ্য মাটিতে মিশতে পারে না, সাতক্ষীরায় সাম্প্রতিক সময় গুলোতে ব্যাপক ভাবে বেড়েছে পলিথিন ও প্লাষ্টিক সামগ্রীর ব্যবহার যে কারনে মাটি ও পানির দুষন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাটির উর্বরতা শক্তি কমে গেলে বা ক্ষয় হলে জমি ফসল উৎপাদনের ক্ষমতা হারাবে এটাই স^াভাবিক অন্যদিকে পানি দুষণ হলে মৎস্য সম্পদ উৎপাদনে ঢস নামবে সেই সাথে নানান ধরনের বিষক্রীয়ার সৃষ্টি হবে। সাতক্ষীরার জীবন যাত্রায় প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমান পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে বিশেষ করে খাবারের পলিথিন প্যাকেট, বোতল, সোপিংব্যাগ, পল্ট্রি খাদ্য ও চালের ব্যাগ, চেয়ারটেবিল, ব্রাশ সহ বহুবিধ পলিথিন ও প্লাষ্টিক সামগ্রী। এ সকল পলিথিন ও প্লাষ্টিক সামগ্রী ব্যবহারের পর তা সরাসরি মাটি এবং পানিতে চলে যায় আর এভাবেই মাটি ও পানি দুষনের শিকার হচ্ছে। কাগজের ঠোঙ্গা, কাপড়ের ও পাটের ব্যাগের ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই কেবল পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব। আমাদের দেশের আইনে স্পষ্ট ভাবেই বলা আছে পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহার এবং বাজারজাত করন নিষিদ্ধ তবুও বাজারগুলোতে পলিথিনের উপস্থিতি ও বিপনন থেমে নেই চলছে তো চলছেই। এই সকল সামগ্রী কেবল পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক তা নয়, মানব দেহের জন্যও হুমকির কারন, মানুষের শরীরে পলিথিনের বিষক্রিয়ায় বহুবিধ রোগের সংক্রমন ঘটে।