পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি \ চারিদিকে ছড়ানো-ছিটানো পঁচা ও নোংরা আবর্জনার স্তুপ, উচ্ছৃষ্ট খাবার নিয়ে কুকুর আর বিড়ালদের মধ্যে চলে দিনভর ঝগড়া, প্রসাব আর আবর্জনার গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও আশেপাশের এলাকা, এমন নোংরা ও দূরগন্ধময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যবসা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুকিতে পড়েছে আশেপাশের কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোন ডাস্টবিন নাকি সরকারী কোন ভবন! হা পাইকগাছা পৌরসদরের প্রাণকেন্দ্রে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিত্যাক্ত ভবন ও আশপাশ এলাকায় এমন দূরগন্ধময় পরিবেশ বিরাজ করছে দীর্ঘদিন। ভবনটি অপসারণ কিংবা পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে কারোর মাথা-ব্যাথা কিংবা এগুলো দেখার যেনো কেউ নাই! পৌর-বাজারের অভিজাত রেস্টুরেন্ট ও মধুমিতা পার্ক (মিষ্টি পুকুরের) পাশে স্বাস্থ্যবিভাগের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র এরিয়ার মধ্যে দু’টি ভবন রয়েছে। যার একটি হচ্ছে নতুন দ্বীতল ভবন আরেকটি রয়েছে একতল বিশিষ্ট পুরাতন ভবন। পুরাতন ভবনটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। কিন্তু ভবনটি অপসারণ না করায় ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে এলাকার লোকজন। ভবনের পাশেই রয়েছে পৌরসভার একটি ডাস্টবিন। এলাকার লোকজন দু’টিই এখন ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে। পরিত্যক্ত ভবনের চারিদিকে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ তৈরী হয়েছে। দূষিত বাতাস আর দূরগন্ধময় পরিবেশে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশপাশ এলাকার মানুষ। ভবনের সামনের ব্যবসায়ী মামুন জানান, ময়লা-আবর্জনা ও দূরগন্ধময় পরিবেশের কারনে কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। পাশের মার্কেটের ব্যবসায়ী বাইজীদ জানান, পরিত্যক্ত ভবনে অনেকেই এখন প্রসাব করে পরিবেশ নষ্ট করছে। এখানকার নোংরা পরিবেশের কারনে আমরা স্বাস্থ্যঝুকিতে রয়েছি বলে প্রেম কুমার বলেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নিতীশ চন্দ্র গোলদার জানান, পৌরসভার ডাস্টবিনটি আমাদের ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাগিদ দিয়েছি। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে আবারো তাদেরকে তাগিদ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্যবিভাগে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পৌরমেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর।