পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি \ পইকগাছায় প্রায় ১২লক্ষ টাকা ব্যায়ে সোয়া কিলোমিটার নিচু ওয়াপ্দা মাটি দিয়ে ভরাট করে উচু করার উদ্যোগ নিয়েছেন মৎস ঘের মালিক শেখ আনোয়ারুল ইসলাম। সরকারী নির্দেশনা মেনে মৎস লীজ ঘের করার জন্য এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান সহ এলাকাবাসী। বাঁধ সংস্কার কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন ওয়াপ্দা কর্তৃপক্ষ। উপজেলার গদাইপুর ও কপিলমুনি ইউনিয়নের সীমানায় নোয়ালতলা ও চক শুননাল মৌজা ৭ শ বিঘা চিংড়ী ঘের মালিক শেখ আনারুল ইসলাম সহ চার জন। উপজেলা প্রশাসন ও চিংড়ী চাষী সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেড়িবাঁধ দিয়ে পরিকল্পিত উপায়ে চিংড়ী চাষের জন্য শেখ আনারুল ইসলাম ওয়াপদার বাঁধ সংস্কার ও বিকল্প বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করেন। এদিকে ওয়াপদা কেটে ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দেন গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ হলে। তিনি বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সোমবার সকালে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ ও কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। চেয়ারম্যান কওছার আলী জানান ঘের মালিক ওয়াপদা সংস্কার করে সর্বসাধারনে উপকার করেছেন। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। এসও রাজু আহম্মেদ জানান,ওয়াপদার কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে কাজ করা ঠিক হয়নি। বাকী মতামত লিখিতভাবে কতৃপক্ষকে জানাবেন বলেও জানান। ঘের মালিক আনারুল ইসলাম জানান যেহেতু ওয়াপদার রাস্তাটি নীচ ও অনেকটা চলাচল অনউপযোগী হয়ে গেছে। মাসিক সমন্বয় মিটিং এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ লাখ টাকা খরচ করে ওয়াপদা সংস্কার ও বিকল্প বাঁধ নির্মান করছি। তবে ওয়াপদার কাছ থেকে পুনরায় অনুমতি নেয়া লাগবে এটা আমার জানা ছিলনা। তবে অধিকাংশ লোকই একাজের জন্য আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।