পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি \ খুলনার পাইকগাছায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট লোনাপানি কেন্দ্রের বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা ২০২১-২২ এবং প্রকল্প প্রস্তাবনা ২০২২-২৩ প্রণয়ন বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ জুন রোববার সকালে কেন্দ্রের অডিটরিয়ামে লোপাকে’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড. মোঃ লতিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএফআরআই ময়মনসিংহ এর পরিচালক (গবেষণা ও পরিকল্পনা) ড. মোঃ খলিলুর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিন এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, খুবির এফএমআরটি ডিসিপ্লিন এর প্রফেসর ড. খন্দকার আনিসুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দেবাশীষ মন্ডল। প্রকল্প প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ হাশমি সাকিব, মোঃ মতিউর রহমান, শরিফুল ইসলাম রুবেল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাওন আহম্মেদ, মোঃ মাসুদুর রহমান, রাফিয়া আফরিন, শাহনাজ পারভীন, রিয়াজ মোর্শেদ রঞ্জু, মোঃ আবু নাসের। উপস্থিত ছিলেন, উপ-পরিচালক মুহাম্মদ কামরুল হক, বিএডিসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হারুন, বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মামুনুর রহমান সহ মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও অত্র এলাকার চিংড়ি ও মৎস্য চাষীবৃন্দ। কর্মশালায় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার কৃষি এবং কৃষকের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ খাতের উন্নয়নে নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে গত ১ দশকের ব্যবধানে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্যের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পাশাপাশি মাছ ও মাংসের কোন ঘাটতি নেই উলেখ করে এমপি বাবু বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ভেটকি সহ যে সব মৎস্য বিলুপ্তির পথে এসব প্রজাতি সংরক্ষণে গবেষকদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার মাধ্যমে গবেষণা ও উৎপাদন বাড়ানোর উপর গুরুতারোপ করে। স্থানীয় এ সংসদ সদস্য বলেন, পদ্মাসেতু ওপেন হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। এ অঞ্চলের কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। তিনি বিষ দিয়ে মাছ না ধরার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।