দুই নতুন মুখ নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। দলের পেস বোলারদের বেশ কয়েকজনের অনুপস্থিতিতে সুযোগ হয়েছে এখনও টেস্ট না খেলা কর্বিন বশ ও কিউনা মাফাকার। ইতোমধ্যে দেশের হয়ে টি—টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছে ১৮ বছর বয়সী মাফাকার। প্রথমবারের মত জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার টার্টিয়াস বশের পুত্র ৩০ বছর বয়সী কর্বিন। প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে ৩৪ ম্যাচে ১২৯৫ রান ও ৭২ উইকেট শিকার করেছেন কর্বিন। পুরোপুরি ফিট না হবার পরও ফিটনেস সাপেক্ষে দলে রাখা হয়েছে অলরাউন্ডার উইয়ান মুল্ডার এবং বাঁ—হাতি স্পিনার কেশব মহারাজকে। গেল মাসে শ্রীলংকার বিপক্ষে ডারবানে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ের সময় ডানহাতের মধ্যমা ভেঙে যায় মুল্ডারের। গত মঙ্গলবার পার্লে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের আগে ওয়ার্ম আপ করার সময় মহারাজ কুঁচকিতে চোট পান বলে জানিয়েছে সিএসএ। ইনজুরির বর্তমান অবস্থার ধারণা পেতে স্ক্যান করার কথা ছিল মহারাজের। দলে আরেক স্পিনার সেনুরান মুথুসামি। পাকিস্তানের বিপক্ষে অন্তত একটি টেস্ট জিতলেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের ফাইনালের টিকিট পাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু বোলিং আক্রমণ নিয়ে বেশ চিন্তায় আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনজুরির সাথে লড়াই করছেন চার পেসার এনরিচ নর্টি, নান্দ্রে বার্গার, জেরাল্ড কোয়েৎজি এবং লিজাড উইলিয়ামস। পেস আক্রমণের পুরো দায়িত্ব সামলাতে হবে কাগিসো রাবাদা ও মার্কো জানসেনকে। পাশাপাশি মহারাজ খেলতে না পারলে, বড়সড় ধাক্কা খাবে প্রোটিয়ারা। সিএসএর এক বিবৃতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ শুকরি কনরাড বলেছেন, ‘একটি পরিষ্কার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এই সিরিজে খেলতে নামবো। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে সেঞ্চুরিয়ানে শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। ৩ জানুয়ারি থেকে কেপ টাউনে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল : তেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), ডেভিড বেডিংহাম, কর্বিন বশ, ম্যাথু ব্রিটস্কি, টনি ডি জর্জি, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ, কোয়ানা মাফাকা, আইডেন মার্করাম, উইয়ান মুল্ডার, সেনুরান মুথুসামি, ডেন প্যাটারসন, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, ট্রিস্টান স্টাবস ও কাইল ভেরেনি।