এফএনএস বিদেশ : পাকিস্তানের মুলতানের হামিদপুর কানোরা এলাকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে একটি গ্যাসভর্তি ট্যাংকার বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে বলে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোররাতে এলপিজি ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণের ফলে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। ভাঙা গাড়ির ধ্বংসাবশেষ আশপাশের আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দশটিরও বেশি দমকল বাহিনীর গাড়ি এবং ফোম—ভিত্তিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে মোট পাঁচজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তবে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানান, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি থেকে আরো একটি মৃতদেহ উদ্ধার করার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খাজা সালমান রফিক বলেছেন, ছয়জন নিহতসহ মোট ৩৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন নাবালিকা এবং দুইজন নারী রয়েছেন। পুলিশের মতে, বিস্ফোরণস্থলের আশপাশে কমপক্ষে ২০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ৭০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুলতানের সিটি পুলিশ অফিসার (সিপিও) সাদিক আলী জিও নিউজকে জানিয়েছেন, আগুনে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং গবাদি পশু মারা গেছে। তিনি জানিয়েছেন, শিল্পাঞ্চলে পার্ক করা একটি ট্যাংকার ট্রাকের একটি ভালভ থেকে গ্যাস লিক হচ্ছিল। ট্যাংকার বিস্ফোরণের আগে গ্যাসের গন্ধ পেয়ে এলাকায় উপস্থিত কিছু লোক সেই জায়গা ছেড়ে চলে যায়। সিপিও আলী আরো বলেছেন, আহতদের মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। জেলার জরুরি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পার্শ্ববর্তী এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এলাকায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যদিও মুলতান—মুজাফফরগড় সড়কটি এখন যান চলাচলের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বিস্ফোরিত ট্যাংকার থেকে গ্যাস লিক হওয়ায় স্থানীয়দের বিস্ফোরণস্থল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ ঘটনার স্থানটি একটি অবৈধ এলপিজি রিফিলিং গুদাম হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গ্যাস স্থানান্তরের কার্যক্রমের সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারে গ্যাস স্থানান্তরিত হচ্ছিল তখন।
সূত্র : জিও নিউজ