পাকিস্তানে প্রতিদিন বাড়ছে নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব সৌর বিদ্যুতের চাহিদা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে বিশ্বের যেসব দেশে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, সেসবের মধ্যে পাকিস্তান অন্যতম। এর কৃতত্ব অবশ্য অনেকাংশেই চীনের সাশ্রয়ী মূল্যের সোলার প্যানেলের। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পাকিস্তানে সৌর বা সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ পেঁৗছাবে ১৭ গিগা ওয়াটে, যা দেশটির মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের এক তৃতীয়াংশ। মাত্র দু’থেকে দেড় বছরের মধ্যে ঘটেছে এই উল্লম্ফন। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি বিষয়ক ব্রিটিশ থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা অ্যাম্বারের বিশ্লেষক ডেভ জোনস জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমার জানামতে, পাকিস্তানে যে গতিতে সোলার প্যানেল বসানো এবং সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ছে, বিশ্বের আর কোনো দেশে এমন দেখা যায়নি।’’ ডয়েচে ভেলের অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাকিস্তানের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ঘাটতি, ঘন ঘন লোডশেডিং, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর দুর্বল অবকাঠামো এবং অতিরিক্ত দামের কারণে দেশজুড়ে ধনী—দরিদ্র সবাই ঝুঁকছেন সৌর বিদ্যুতের দিকে। আর এক্ষেত্রে তাদের প্রধান সহায় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন চীনা কোম্পানির তৈরি সাশ্রয়ী সোলার প্যানেল। ফলে এখন পাকিস্তানজুড়ে ঘরবাড়ি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও কারখানার ছাদে সৌর প্যানেলের সমারোহ। পাকিস্তান ২০৩০ সালের মধ্যে সারাদেশে ৬০ শতাংশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা ভাবছে। তবে এজন্য দেশটিকে মূল্যও দিতে হবে। কারণ ইতোমধ্যে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ অন্তত দিনের বেলায় বিদ্যুৎ পেতে সোলার প্যানেলের দিকে ঝুঁকে পড়ায় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের চাহিদা হঠাৎ কমে গেছে। ক্ষতি পোষাতে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুতের দাম। উৎপাদনকেন্দ্রগুলো ঠিকঠাক বুঝতে পারছে না যে কখন কী পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন।