এফএনএস স্পোর্টস: ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতে দল পাঠাতে একরকম প্রস্তুত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এখন প্রয়োজন পাকিস্তান সরকারের অনুমতি। ভারত সফরের আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে পিসিবি। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর। প্রাথমিক পর্বে পাকিস্তান তাদের ৯ ম্যাচ খেলবে পাঁচটি ভেন্যুতে। পিসিবি জানতে চেয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দল ভারত ভ্রমণের অনুমতি পাচ্ছে কিনা। যদি পায় সেক্ষেত্রে তাদের ম্যাচগুলোর ভেন্যু নিয়ে কোনো আপত্তি আছে কিনা এবং পরিদর্শনের জন্য সরকার নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাঠাতে চায় কিনা। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জুন হিসেবে গত ২৬ চিঠিটি লিখেছিল পিসিবি। দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে প্রতিবেশী দেশে যেতে সরকারের অনুমতি লাগে। সরকারের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র না পেলে ভারত সফর করবে না পাকিস্তান দল। পিসিবির পক্ষ থেকে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানানো হয়েছে, আইসিসি সূচি প্রকাশের পরপরই সরকারকে অবগত করেছে তারা। “সরকারের সিদ্ধান্তের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে এবং যে পরামর্শ দেওয়া হবে তা অনুসরণ করব। ভেন্যুগুলি পরিদর্শনের জন্য এবং আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যদি ভারতে একটি অগ্রিম দল পাঠানোর প্রয়োজন হয়, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে সরকারের সিদ্ধান্ত হবে।” ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতে কোনো সফর করেনি পাকিস্তান। আর ভারত সবশেষ পাকিস্তানে খেলেছিল ২০০৮ সালে। দুই দল প্রতিবেশী দুই দেশে সফর করবে, এমন জল্পনা-কল্পনা গত এক বছর ধরে চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা দেখছে না আলোর মুখ। পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে খেলতে দেশটিতে যেতে রাজি হয়নি ভারত। ৩১ অগাস্ট শুরু হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর শেষ হতে যাওয়া টুর্নামেন্টটি তাই এখন হবে ‘হাইব্রিড মডেলে’, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে। যেখানে ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কায়। আর ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ এখন নির্ভর করছে তাদের সরকারের অনুমতির ওপর। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে জানিয়েছে, বিশ্বকাপে দলের অংশগ্রহণ নিয়ে যাচাই-বাছাই করছে তারা। সঠিক সময়ে পিসিবিকে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। আগামী অগাস্টে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এমনটা হলে পরবর্তী সরকার দায়িত্বে আসা না পর্যন্ত ভারত সফরের সিদ্ধান্ত নিয়ে পিসিবিকে অপেক্ষা করতে হতে পারে। এবারের সিদ্ধান্তও আসতে পারে শেষ মুহূর্তে, যেমনটা ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় হয়েছিল। ওই সময় নওয়াজ শরিফের সরকার শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানকে অনুমতি দিয়েছিল ভারতে যাওয়ার। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম দুই ম্যাচ হায়দরাবাদে ৬ ও ১২ অক্টোবর, বাছাই পেরিয়ে আসা দুই দলের বিপক্ষে। ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারতের বিপক্ষে খেলবে তারা। বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তাদের লড়াই ২০ অক্টোবর। পরের দুই ম্যাচ চেন্নাইয়ে ২৩ ও ২৭ অক্টোবর, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা কলকাতায়- ৩১ অক্টোবর ও ১২ নভেম্বর। মাঝে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ নভেম্বর তাদের ম্যাচ বেঙ্গালুরুতে।এফএনএস স্পোর্টস: ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতে দল পাঠাতে একরকম প্রস্তুত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এখন প্রয়োজন পাকিস্তান সরকারের অনুমতি। ভারত সফরের আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে পিসিবি। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর। প্রাথমিক পর্বে পাকিস্তান তাদের ৯ ম্যাচ খেলবে পাঁচটি ভেন্যুতে। পিসিবি জানতে চেয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দল ভারত ভ্রমণের অনুমতি পাচ্ছে কিনা। যদি পায় সেক্ষেত্রে তাদের ম্যাচগুলোর ভেন্যু নিয়ে কোনো আপত্তি আছে কিনা এবং পরিদর্শনের জন্য সরকার নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাঠাতে চায় কিনা। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জুন হিসেবে গত ২৬ চিঠিটি লিখেছিল পিসিবি। দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে প্রতিবেশী দেশে যেতে সরকারের অনুমতি লাগে। সরকারের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র না পেলে ভারত সফর করবে না পাকিস্তান দল। পিসিবির পক্ষ থেকে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানানো হয়েছে, আইসিসি সূচি প্রকাশের পরপরই সরকারকে অবগত করেছে তারা। “সরকারের সিদ্ধান্তের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে এবং যে পরামর্শ দেওয়া হবে তা অনুসরণ করব। ভেন্যুগুলি পরিদর্শনের জন্য এবং আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যদি ভারতে একটি অগ্রিম দল পাঠানোর প্রয়োজন হয়, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে সরকারের সিদ্ধান্ত হবে।” ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতে কোনো সফর করেনি পাকিস্তান। আর ভারত সবশেষ পাকিস্তানে খেলেছিল ২০০৮ সালে। দুই দল প্রতিবেশী দুই দেশে সফর করবে, এমন জল্পনা-কল্পনা গত এক বছর ধরে চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা দেখছে না আলোর মুখ। পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে খেলতে দেশটিতে যেতে রাজি হয়নি ভারত। ৩১ অগাস্ট শুরু হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর শেষ হতে যাওয়া টুর্নামেন্টটি তাই এখন হবে ‘হাইব্রিড মডেলে’, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে। যেখানে ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কায়। আর ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ এখন নির্ভর করছে তাদের সরকারের অনুমতির ওপর। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে জানিয়েছে, বিশ্বকাপে দলের অংশগ্রহণ নিয়ে যাচাই-বাছাই করছে তারা। সঠিক সময়ে পিসিবিকে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। আগামী অগাস্টে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এমনটা হলে পরবর্তী সরকার দায়িত্বে আসা না পর্যন্ত ভারত সফরের সিদ্ধান্ত নিয়ে পিসিবিকে অপেক্ষা করতে হতে পারে। এবারের সিদ্ধান্তও আসতে পারে শেষ মুহূর্তে, যেমনটা ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় হয়েছিল। ওই সময় নওয়াজ শরিফের সরকার শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানকে অনুমতি দিয়েছিল ভারতে যাওয়ার। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম দুই ম্যাচ হায়দরাবাদে ৬ ও ১২ অক্টোবর, বাছাই পেরিয়ে আসা দুই দলের বিপক্ষে। ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারতের বিপক্ষে খেলবে তারা। বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তাদের লড়াই ২০ অক্টোবর। পরের দুই ম্যাচ চেন্নাইয়ে ২৩ ও ২৭ অক্টোবর, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা কলকাতায়- ৩১ অক্টোবর ও ১২ নভেম্বর। মাঝে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ নভেম্বর তাদের ম্যাচ বেঙ্গালুরুতে।