মে মাসের শেষ সপ্তাহেই পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। লিটন দাসের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সঙ্গে ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে এ সিরিজটি পড়ে গেছে দারুণ এক শঙ্কার মধ্যে। যেখানে হামলা-পাল্টা হামলায় ভারতে আইপিএল এবং পাকিস্তানে পিএসএল স্থগিত হয়ে গেছে, সেখানে বাংলাদেশ দল কিভাবে পাকিস্তান সফরে যাবে? একই সঙ্গে আরব আমিরাত সিরিজ সম্পর্কেও জানতে চায় সবাই। এমন প্রশ্ন যখন উঠেছে, তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২ ম্যাচের সিরিজ অনুষ্ঠিত। বিসিবি জানিয়েছে, তাদের কাছে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাই সবার আগে এবং যে কোনো সিদ্ধান্ত- এ বিষয়টাকে সামনে রেখেই নেয়া হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি লিখেছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের আসন্ন পাকিস্তান সফর নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।’ ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে বিসিবি লিখেছে, ‘বিসিবি একই সঙ্গে জানিয়ে দিতে চায় যে, তাদের খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের নিরাপত্তার বিষয়টা বোর্ডের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সফর সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেওয়া হবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে, গৃহীত সিদ্ধান্ত দল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্বার্থ নিশ্চিত করে।’ তবে পাকিস্তান সফর নিয়ে শঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশ দল তার আগে ২ ম্যাচের সিরিজ খেলতে আরব আমিরাত সফরে যাবে। বিসিবি জানিয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে ব্যস্ত সূচি, তার সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় দল নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফর করবে। সিরিজটি আগামী সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।’ তবে আশার খবর হলো, বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি এমন এক সময়ে এলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত এবং পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই যুদ্ধবিরতি গত শনিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। যুদ্ধবিরতির ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর সময়মত অনুষ্ঠিত হলেও হতে পারে।