আমাদের দেশ নাতিশীতোষ্ণ এলাকায় অবস্থিত। দেশের ছয়টি ঋতু তাই সহনীয়। অবশ্য সা¤প্রতিক বছর গুলোতে বাংলাদেশের চির পরিচিত ছয় ঋতুর অস্তিত্ব এবং অবস্থান ক্ষয়িষ্ণু। শীতের সময় গুলোতে শীতের উপস্থিতিতে কোন কোন সময় দেখা যায় না আবার অতি শীতে জনজীবনে নেমে আসে অস্থিরতা। একই ভাবে গ্রীষ্ম ঋতুতেও গরম এর উপস্থিতি যেমন দেখা যায় না অনুরুপ ভাবে কখনও কখণও অতি গরম জীবন যাত্রায় ছন্দ পতন ঘটায়। বর্তমান সময় শীত ঋতুর উপস্থিতি, সর্বত্র শীতে উপস্থিতি। শীত ঋতু দৃশ্যতঃ পরিবর্তন এর আবহ সৃষ্টি করে করে যে কারনে শীতে পরিবর্তন, পরিবর্ধন এর ডানা মেলে। শীতের এই দিনগুলোতে অগনিত ও বিচিত্র ধরনের পাখিদের উপস্থিতি ঘটে আমাদের দেশে আর এ সকল পাখিদেরকে আমরা অতিথি পাখি হিসেবে চিহিৃত করে থাকি। শীত প্রধান দেশ সাইবেরিয়া সহ অপরাপর হাজার হাজার মাইল দুর দেশ হতে এ সকল অতিথি পাখি আমাদের দেশে আসে, আমরা নিশ্চয়ই অতিথি কে যে ভাবে আদর, আহŸান এবং অপ্যাায়ন করে থাকি দুর দেশ হতে আগত অতিথি পাখিদেরকে অনুরুপ ভাবে আদর আর অথিথেয়তায় আচ্ছন্ন করবো। আমরা যেন অতিথি পাখি নিধন না করি। এক শ্রেনির চোরা শিকারীরা অতিথি পাখি অবলিলায় নিধন করের থাকে যা কেবল অতিথির উপর নির্মমতা তা নয় আমাদের দেশের প্রচলিত আইনের বিরোধী। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় প্রাণি নিধন যে চলমান নয় তা নয়, তবে অতীতের ন্যায় বর্তমান সময়ে প্রকাশ্যে অতিথি পাখি নিধন খুব বেশি দেখা যায় না। সাতক্ষীরায় অতিথি পাখির ন্যায় অগনিত দেশী পাখির উপস্থিতি বিদ্যমান, বক, চড়–ই, ঘুঘু, হাস পাপড়া সহ বহু ধরনের পাখির অস্তিত্ব বিদ্যমান। পাখি আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু, প্রকৃতিকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখে পাখিরা, নানান ধরনের কীট পতঙ্গ নিধন করে পাখি। আমরা যে যার অবস্থান হতে প্রকৃতিকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবো আর এ জন্য পাখির প্রতি যতœশীল হতে হবে, পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে।