পাটকেলঘাটা প্রতিনিধ ॥ স্বভাবিক মৃত না হত্যা পিতার মৃত দেহ ৩ বোন ও বোনের ছেলেদের শেষ দাফনের আগে মৃত মফেজ উদ্দিন শেখ (৭৫) এর মুখ দর্শন করতে দিলেন না নিজ পুত্র। সুত্র বলছে, বুধবার ১৭ জানুয়ারী দুপুর ৩ টায় যুগিপুকুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন শেখের মৃত্যু নিয়ে স্বজন ও এলাকা বাসীর ভিতরে গুঞ্জন চলছে হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৃত মফেজ উদ্দিন বিগত ছয় ৫ বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন বাড়িতে। বুধবার দুপুরে বৃদ্ধ মফেজ উদ্দিন এর হঠাৎ মৃত্যুর পরে তার ছেলে হামিদ শেখ ও তার পুত্র মাহমুদুল শেখ, তাদের নিকটতম আত্মীয়-স্বজনকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করেন। মৃত্যুর বিষয় নিয়ে তার বড় মেয়ে রাবিয়া বেগম, অশ্র“ সিক্ত চোখে কেঁদে, তার ভাই ও ভাইপোর উপর অভিযোগের তীর ছুড়ে বলেন, আমার ছেলে বাড়ীর বাইরে আছে, সে চলে এসেছে আর পাঁচ মিনিট লাগবে। আমার ছেলেকে তার নানার লাশ টি দেখতে দাও তখন আমিও আমার ছোট বোন পিতার লাশ বাহী খাটিয়া ধরে আটকে রাখতে চাইলে, তারা আমাদের সিটকে ফেলে দিয়ে আমার ভাই ও ভাইপোরা লাশ দাফন করে ফেলে। মৃত মফিজ উদ্দিনের আরেক মেয়ে জাহানারা বেগমের ছেলে পলাশ জানান আমি পাটকেলঘাটায় ব্যবসা করি। আমার নানা মারা গিয়েছে। কিন্তু আমাদের কাউকে জানায়নি। আমরা এলাকা বাসীর কাছে জানতে পারি। বুধবার দুপুরে নানা মারা যাওয়ার পুর্বে ঐ দিন সকাল বেলায় আমার মামাতো ভাই মাহমুদুল মামলা এবং জীবননাশের হুমকি দিয়ে আমার মায়ের কাছ থেকে ষ্টামে সই করে নেয়। পরে দুপুর ১ টার দিকে মোটরসাইকেল এর গতিরোধ করে একই ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকেও ষ্টামে সই নিয়ে নেয়। আমার সন্দেহ হচ্ছে। ওরা আমার নানার সহায় সম্পত্তি আত্মসাৎ এর জন্য আমার নানাকে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে মফেজ উদ্দিন এর পুত্র হামিদ শেখের বাড়ী গিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বোন ও ভাগিনাদের সাথে সম্পতি নিয়ে, মনোমালিন্ন চলছে। আমি আমার তিন বোনদের ৬বিঘা জমি লিখে দিতে চেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে এলাকার শালিশে মীমাংসাও হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, চিকিৎসার জন্য আমার ওয়াইফ ও আমি সাতক্ষীরায় গিয়েছিলাম বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি থেকে পাটকেলঘাটা বলফিল্ড মড়ে নামলে ভাইজি আমাকে ফোন দিয়ে আমার পিতার মৃত্যুর খবর জানায়। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ঘটনা স্তলে এসে, আমার পিতার লাশ দাফনের দিন আমার মায়ের কাছ থেকে জবান বন্ধি নিয়েছে।