কাশিমাড়ি (শ্যামনগর) প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের মোট ভূমির সিংহভাগ ভূমি কৃষি মৎস্যের সাথে জড়িত। একই সাথে অধিকাংশ জনগণ কৃষি ও মৎস্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্যোগের ঘনঘটা ও ধান চাষযোগ্য জমিতে লবণ পানির মৎস্ ঘের বেড়ে যাওয়ায় কৃষি জমির উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। মিঠা জমি লবণাক্ত হয়ে কৃষি পণ্য ধান, আলু, পটল, শাকসবজি সহ ফল ফালাদির উৎপাদন কমে যাচ্ছে। একদিকে কৃষি পণ্য উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে অন্যদিকে চাষযোগ্য পানির অভাবে উপযুক্ত সু উর্বর চাষী জমি পড়ে থাকছে। ইউনিয়নের চাষিদের দীর্ঘদিনের চাওয়া—পাওয়া চাষযোগ্য মিঠা পানির অভাব দূর করা। প্রকৃত চাষীদের স্বপ্ন প্রত্যাশা পূরণে আশার আলো না দেখায় হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ৩৩.৪১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ইউনিয়নটিতে ৪৯০.৪০ একর খাস জমি আছে। অথচ পানির অভাবে ইউনিয়নের সিংহভাগ জমি দ্বিতীয় ব্লকে ধান চাষ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া ফসল উৎপাদনের তথ্য অনুযায়ী দুই ফসলে জমির পরিমাণ মাত্র ১৩৭ একর এবং এক ফসলি জমির পরিমাণ ৪৯০৭ একর। বাস্তব অর্থে কৃষকদের চাওয়া পাওয়া অনুযায়ী যদি খাস জমি গুলো জলাশয় খনন পূর্বক পানির অভাব পূরণ করা যায় তাহলে কৃষি উৎপাদনে অনন্য ভূমিকা রাখবে ইউনিয়ন টি। এক ফসলি ৪৯০৭ একর জমি সহ মোট ভূমি পরিকল্পিত উপায়ে চাষাবাদের আওতায় আনতে পারলে দ্বিতীয় ব্লকে ধান চাষ উৎপাদনে মাইলফলক স্পর্শ করবে উপকূলীয় উপজেলার এ ইউনিয়ন। কৃষকসহ ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সরকারি খাস জমিতে দীঘি বা জলাশয় খনন করলে শুকনো মৌসুমে প্রাকৃতিক বর্ষার পানি ধরে রাখার সুষম ব্যবস্থা হবে অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা হবে। যা কৃষি ক্ষেত্রে আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে উৎপাদনের দুয়ার প্রশস্ত করবে। কৃষি ব্যবস্থা সরাসরি গ্রামীন অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি বৃদ্ধির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পাশাপাশি এ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং উৎপাদন বাড়াতে উৎপাদন ব্যবস্থায় বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে আন্তরিক হবেন এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে মনে করছেন এলাকার সুশীল সমাজ।