পানি নিষ্কাশনের জন্য ওভার পাইপ বসানো দাবি এলাকাবাসীর
মাসুম, আশাশুনি, প্রতাপনগর প্রতিনিধিঃ
বর্ষা কমলেও দুর্ভোগ কমিনি পানি বন্দি প্রতাপনগর ইউনিয়নের মানুষের। বর্ষার পানিতে ডুবে আছে বিল-খাল, পুকুর, পুসকুনি, পথ ঘাট সব-ই পানিতে একাকার। এবছর দিয়ে একটানা চার বছরের বর্ষার ধান চাষ করতে পারিনি প্রতাপনগরের কৃষক। পানি নিষ্কাশনের জন্য বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওভার পাইপ বসানো সময়ের দাবি এলাকাবাসীর। উপকূলীয় অঞ্চল প্রতাপনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় তিন হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে না পারায় অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আম্ফানে বিধ্বস্ত প্রতাপনগরের শতশত কৃষক। ষড় ঋতুর বাংলাদেশে ঋতু বৈচিত্রের মিল না থাকলেও এবছর বর্ষাকালের আষাড়ের প্রথম দিন অর্থাৎ ইংরেজি ১৫ জুন থেকে আজ অবধি প্রতাপনগর অঞ্চলে কখনো মুষলধারে, কখনো প্রবল আকারে, কখনো মাঝারি, কখনো হালকা পাতলা ভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। যে কারণে মুসলিম উম্মাহর প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার নামাজ কোন ঈদগাহে আদায় করা সম্ভব হয়নি। মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। এটি অর্ধশত বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছেও বটে। বর্তমানে বর্ষা কমলেও চাষাবাদের জমি পানিতে প্লাবিত থাকায় বর্ষার ধান ফেলতে পারিনি শতশত কৃষক। অবস্থা উত্তরনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ ঢালীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সরকারি অর্থ বরাদ্দে কল্যাণপুর পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। এবং দেরিতে হলেও প্রতাপনগর এলাকাবাসীর অর্থ ও ইউপি চেয়ারম্যানের অর্থ বরাদ্দে হরিশ খালি এলাকায় দুটি ওভার পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। একাধিক কৃষক ও সচেতন এলাকাবাসী বলেন যতোদিন স্লুইচ গেট না হবে, ততদিন দিন কি আমাদের এই অবস্থার মোকাবেলা করতে হবে ? তাই যতোদিন স্লুইচ গেট না হবে ততদিন পর্যন্ত পানি নিষ্কাশনের সু ব্যাবস্থা করতে বিকল্প প্রযুক্তিতে বেড়িবাঁধের ক্ষতি না করে বেড়িবাঁধের উপরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পরিমাণ দশ ইঞ্চির বা তার চেয়ে বেশি মোটা আকারে ওভার পাইপ বসানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।