শিশু ও বৃদ্ধ সহ তেইশ জন কুকুর কামড়ে আহত
দেবহাটা অফিস \ দেবহাটার পারুলিয়া ও সখিপুর এলাকায় দুই কুকুরের ঘেউ ঘেউ ডাক, উন্মাদের ন্যায় ছোটাছুটি আর পথচারীদের একের পর এক কামড় দেওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকাময় কুকুর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্ততঃ তেইশ জনকে কামড় দিয়েছে কুকুর দুটি। শিশু হতে বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাইনি কুকুরের কামড় হতে। সর্বাপেক্ষা কামড় এবং আতঙ্ক জনক পরিস্থিতির অবতরনা ঘটেছে মাঝ পারুলিয়া বালিকা বিদ্যালয় এলাকা, পারুলিয়া বাজারে সাগর সাহা দিঘি সংলগ্ন সড়ক পথ, মাঝ পারুলিয়া খালচর পাড়া, অন্যদিকে উত্তর সখিপুরের আহম্মদ আলীর পুকুর পাড় এলাকাতে কুকুরের দিক ভ্রান্ত ছোটা ছুটি, গোসল সারতে আসা মানুষদের কামড় দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেছে। পাগলা কুকুরটির আচরন কেবল বেহিসেবি ছিল না মারমুখি ছিল বটে। মুহুর্তের মধ্যে পুকুর ঘাটে উত্তর সখিপুর গ্রামের মৃত গোলাম বারীর কন্যা খাদিজা ৩৪ কে কুকুর আক্রমন করে। কামড়ে কামড়ে তাকে রক্তপাত ঘটায়, চিৎকারে আর শক্তি প্রয়োগে কুকুরের আক্রমন হতে রক্ষা পেতে খাদিজা শক্তি প্রয়োগে কুকুরকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিরে কুকুরটি পুনরায় ডাঙ্গায় এসে দ্বিতীয়বার কামড় বসিয়ে দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে। পারুলিয়া জনবহুল বাজারে ভোলার হোটেল সংলগ্ন এলাকাতেও কুকুরটি পথ চারিদের কামড় বসিয়ে দিয়েছে। তেইশজনের অধিক কুকুরের কামড়ে আহতদের বেশির ভাগ রক্তপাত এবং কামড়ে গভীর ক্ষত হয়েছে বলে ভুক্তভোগী আক্রান্তদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এ রিপোর্ট লেখার সময় রাত দশটায় পারুলিয়া এলাকার কুকুরটির অবস্থান পারুলিয়া বালিকা বিদ্যালয় এলাকা, পারুলিয়া বাজার সহ অন্যান্য এলাকায় প্রতিমুহুর্তে অবস্থান পরিবর্তন করছিল। কুকুর কামড়ে আহতরা হলো পারুলিয়ার গনি মোল্যার স্ত্রী রহিমা খাতুন ৭০, একই গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ৫৫, মৃত আজগর আলীর পুত্র আনিছুর রহমান গাজী ৬০, ফজর আলীর পুত্র মাছুম বিলাহ ২৪, মনিরুল ইসলামের ৭ বছরের শিশু কন্যা মিপতাহ জান্নাত, মৃত আঃ লতিফ এর পুত্র মারুফ হোসেন ৪৮, নিতাই দাসের স্ত্রী যমুনা দাসী ৭২, অশোক দাসের স্ত্রী মিনি বালা ৫০, ও কন্যা মুক্তারানী ২১ বিমল দাসের দুই পুত্র সাগর দাস ২৪, ও বিপ্লব দাস ২২ মৃত মতি মোল্যার পুত্র আঃ জলিল মোল্যা ৭২, নিশ্চিন্তপুরের মিন্টু রহমানের ৪ বছরের শিশু পুত্র নিলয়, উত্তর সখিপুরে কুকুরের কামড়ে আহতরা হলো মৃত গোলাম বারীর কন্যা খাদিজা ৩৪ আশরাফুলের স্ত্রী মাজিদা ২৫, দয়াল চন্দ্রের কন্যা জয় ১২, এলাকাবাসি বর্তমান সময়ে কুকুর আতঙ্কে ভুগছে। যে কোন সময়ে কে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। সন্ধ্যার পর থেকে এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে কুকুর খুজে ফিরছিলো। সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ আক্রান্তদের অধিকাংশ চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা নিতে আসা কুকুর কামড়ে আহতরা জানান দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ সাকিব হাসান বাঁধন অত্যন্ত যতœসহকারে চিকিৎসা প্রদান করেন। আহতদের কয়েকজন সদর হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিটি কামড় ছিল অস্বাভাবিক বড় বড় ক্ষত এবং রক্তপাত হচ্ছিল। বেওয়ারিশ ও কুকুর দু’টিকে আটকানো না হলে এমন ভয়াবহ কামড় বসিয়ে পথচারিদের ক্ষত বিক্ষত করার আশঙ্কার শেষ নেই।