এফএনএস : দেশে আরো ১৭টি নতুন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মূলত জনগণকে বাড়ির কাছেই পাসপোর্ট সেবা দেয়ার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে দেশের বিদ্যমান ৪টি পাসপোর্ট অফিসের পরিসর আরো বড় করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার গৃহীত ওই প্রকল্প স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগের বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং গণপূর্ত অধিদফতর বাস্তবায়ন করবে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়ও তা অনুমোদিত হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পের মোট ১২৮ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ৮ বিভাগের ২১টি জেলা সদরে ওসব ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ হবে। মূলত ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন এবং সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন সম্প্রসারণের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপদ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যেই সরকার ওই প্রকল্প নিয়েছে। সূত্র জানায়, নতুন ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবনের জন্য ১৪ হাজার ৬৫ দশমিক ২২ বর্গমিটার জায়গার প্রয়োজন হবে। সেজন্য ৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ৩৭ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৩৯ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন করা হবে এবং প্রকল্প এলাকায় পানি সরবরাহ ও বিদ্যুতায়ন করা হবে। দরপত্রের শিডিউল পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রণ খাতে ব্যয় এবং বাস্তবায়নের মেয়াদ দেড় বছর বাড়ানোর কারণে প্রকল্পটিতে সংশোধন আনা হয়েছিল। প্রকল্পটি চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশনের গাইডলাইন মোতাবেক এমআরপি ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) এবং ই-পাসপোর্ট-এর কার্যক্রম নেয়ার উলেখ রয়েছে। একনেকের সভায় উপস্থাপনের আগে প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাসপোর্ট সেবা দ্রুত ও সুষ্ঠু হবে। এদিকে এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, জনসাধারণের পাসপোর্ট পাওয়া সহজ করতেই প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে এবং হয়রানি কমবে।