এস এম জাকির হোসেনঃ কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের পীরগাজন থেকে খুড়মী বিওপি ক্যাম্প পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে যেন দেখার কেউ নেই। হালকা বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। রাস্তার উপর থেকে কার্পেটিং উঠে যাওয়াই বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে এবং কিছু রাস্তা পার্শ্ববর্তী পুকুরে ধসে পড়েছে, চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। যার ফলে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাইকেল, মোটরসাইকেল, মোটর ভ্যান, ইজি বাইক সহ সমস্ত যানবাহন। এই রাস্তাটি ব্যবহার করে বিজিবি ব্যাটেলিয়ান তাদের বিওপি ক্যাম্পে যাওয়া আসা করে। এই পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটির ২ কিলোমিটার রতনপুর ইউনিয়নে এবং বাকি তিন কিলোমিটার রাস্তা ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে পড়েছে। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার ভিতরে বিওপি ক্যাম্প, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে। এই সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ কর্মরত কর্মকর্তারা ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এই রাস্তাটি সংস্কার করলে অত্র এলাকার জনসাধারণ সহজে কদমতলা/রতনপুর বাজার থেকে বাজারে সওদা সহ বিভিন্ন কাজ মিটিয়ে সহজে বাড়িতে ফিরতে পারবে। দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তাটি ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় থাকলেও কোনো সংস্কার হয়নি। প্রতিনিয়ত এ রাস্তায় ঘটে চলছে দুর্ঘটনা। বিভিন্ন দুর্যোগ ও বর্ষায় পানিতে কার্পেটিং রাস্তার ইটের খোয়া উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার পাশে খাল এবং পুকুর থাকার কারনে দুই পাশ ভেঙ্গে পুকুর ও খালে পড়েছে। ফলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি একমাত্র পথ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। দিন দিন রাস্তাটি চলাচলের সম্পুর্ন অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন সেখানে গ্রামীন এই রাস্তার বেহাল দশার দীর্ঘ সময় পার হলেও তা সংস্কার করার কোন খবর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ এমদাদুর রহমান দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, এই রাস্তাটি ভেঙে সংকীর্ণ হওয়ায় মালবাহী ভ্যান, বিজিবির গাড়ি, মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। একটু ভারী মাল থাকলে গাড়ি উল্টে যায়। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হয় এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় আমাদের। এলাকাবাসীর দাবি রাস্তাটি মেরামত করা না হলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার সহ উধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।