সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

প্রকাশনা শিল্প সামগ্রী ও শিক্ষা উপকরনের মূল্য বৃদ্ধি ঃ অস্তিত্ব সংকটে সংবাদ পত্র শিল্প ঃ শিক্ষার্থী অভিভাবক হতাশায়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২

মাছুদুর জামান সুমন \ নিত্য পন্যের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকাশনা শিল্প এবং শিক্ষা উপকরনের মূল্য আকাশ ছোয়ায় পৌছানোর বিরূপ প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রায়। দেশের প্রিন্ট মিডিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট নিউজপ্রিন্ট, কালি, প্লেট, পেস্টিং পেপার, সহ অপরাপর রাসায়নিক সামগ্রীর মূল্য কয়েক মাসে দফায় দফায় মুল্য বৃদ্ধি শেষ ধাপ অতিক্রম করে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি বলা যায় প্রিন্ট মিডিয়ার প্রকাশনা অব্যাহত রাখার সর্বাঙ্গে পেরেক বিদ্ধ করা। সংবাদ পত্র শিল্পের সাথে জড়িতরা বিশেষ করে প্রকাশকরা অব্যাহত মুল্যবৃদ্ধির অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির মধ্যে চরম অস্বস্তির মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে অর্থাৎ প্রকাশনা শিল্পের সাথে সংর্শ্লিষ্ট পন্যের মূল্য হ্রাস না হলে সংবাদ পত্র তথা প্রকাশনা শিল্প নিশ্চিত হুমকির মুখে পড়বে। দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ এবং বিক্রি এর মধ্যে পরিবেশক, সাংবাদিক, সহ শ্রমিক মূল্য সব মিলে প্রতিদিনই লোকসানের মাত্রাই পাল­া দিয়ে চলছে। জাতীয়, স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সকল দৈনিক পত্রিকা অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধে যুদ্ধরত/কর্তৃপক্ষই শেষ কথা সংবাদপত্র শিল্পকে রক্ষা করা, অস্তিত্ব বজায় রাখা। শিক্ষা উপকরনের মুল্য প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা সরকারিভাবে বিনামূল্যে বই পেলেও খাতা, কলম, রং পেন্সিল সহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরন সংগ্রহ করতে হয়, একই ভাবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ও সরকারি ভাবে বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা হলেও অন্যান্য উপকরন ক্রয় করতে হয়। স্কুল টিফিন হতে শিক্ষা উপকরন সবই আগুন ছোয়া। কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের বইয়ের মুল্য বেড়েই চলেছে। গত ছয় মাস পুর্বে বিভিন্ন প্রকৃতির বইয়ের মূল্য কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ধারাবাহিকভাবে ফটোকপি ও প্রিন্ট নেওয়ার খরচ সাতক্ষীরার বাস্তবতায় প্রতিপৃষ্টা ফটোকপি তিন টাকা, সাতক্ষীরা শহরের একাধিক ফটোকপিকারী ফটোকপির মুল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বলেন কাগজের ও কালির মুল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের মূল্যের কারনে প্রতি কপি তিনটাকা করে নিচ্ছি। কাগজের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে গত ছয়মাস পূর্বে সাদা কাগজ রীমপ্রতি ছিল ৩২০ টাকা বর্তমানে তার বাজার মুল্য ৫০০ টাকা। দেশে বিভিন্ন কোম্পানীর বাঁধাই করা কাগজের খাতার মুল্য বেড়েই চলেছে। কিছুদিন পূর্বে ৪০ টাকার খাতা বর্তমান সময়ে ৬০ টাকা এমনি ভাবে জ্যাতি বক্সের (প্রকার ভেদ) ৫০/৬০ টাকা, বর্তমানে তার মুল্য ১৪০/১৫০ টাকা। প্রতি পিচ বলপেন ৫ টাকার বর্তমানে ৮/১০ টাকা, পেনসিল ও রং পেন্সিলের মূল্য বেড়েছে। শিক্ষা উপকরন হিসেবে বিশেষ প্রয়োজনীয় সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর আর এই ক্যালকুলেটরের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুল ড্রেজের জন্য সিট কাপড়ের বিকল্প নেই। এখানেও মুল্য বৃদ্ধির ধাক্কায় শিক্ষার্থী অভিভাবকরা, স্যান্ডেল, জুতার মুল্যও বেড়ে চলেছে। টিফিন বক্স, হটপট, পানির পট, স্কুল ব্যাগ সব কিছুতেই মুল্য বৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতা। শিক্ষা উপকরনের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির এই সময়গুলোতে নিম্ন আয়ের এবং মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর জন্য চরম বিব্রতকর এবং বিড়ম্বনার পরিস্থিতির অবতরনা ঘটিয়েছে। চাকুরীজীবি পরিবার গুলোও ভাল নেই মূল্য বৃদ্ধির এই দুঃসময়ে। শিক্ষা উপকরনের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও চাকুরীজীবিদের বেতন বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেনি বিধায় গোনা টাকায় সংসার চালাতে হচ্ছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গ্রামের। তারা গ্রাম থেকে শহরের বিভিন্ন মেসে ভাড়া থাকেন। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পরিবারের পক্ষ হতে যে অর্থ প্রেরন করে সেই অর্থে তাদের থাকা, খাওয়া ও পড়ালেখা খরচ হয় না আর এ জন্য টিউশানী করে থাকে কিন্তু অভিভাবকদের একটি অংশ আর্থিক কারনে সন্তানদের টিউশানী না দিয়ে নিজেরাই পাঠদান করছে যার ফলশ্র“তিতে মেসে ও বাসা বাড়ীতে, হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সমস্যায় পড়েছে। কিন্ডার গার্ডেনগুলো অনেকটা ব্যয় বহুল যে কারনে অভিভাবকরা কিন্ডার গার্ডেন বিমুখ হচ্ছে। শিক্ষা উপকরনের মূল্য বৃদ্ধি নয়, সহনীয় করার বিকল্প নেই। বর্তমান অবস্থা চলমান থাকলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ জনসাধারনের মাঝে বর্তমান বিরূপ প্রভাব অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com