মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি থেকে \ আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ একাধিক এলাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা ও হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, আসন্ন বর্ষার মৌসুমে প্রতাপনগরসহ পাশ্ববর্তী এলাকা গুলো প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা করতে ঝুঁকিপূর্ণ একাধিক বেড়িবাঁধ নির্মান কাজ চলমান। এসকল চলমান বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ নিয়ে অনেক প্রশ্ন স্থানীয়দের মনে। কিন্তু এসব প্রশ্নের জবাব দিবে কে ? এধরনের মন্তব্যে হতাশ স্থানীয়রা। এর আগে বেড়িবাঁধ ভেঙে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব অনেকেই মনের কষ্টে বলতে দেখা গেছে “কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ”। সত্যান্বেষী মহল তাদের পকেট ভরতে সরকার কর্তৃক উপকুলবাসীকে রক্ষার লক্ষে এধরনের বহু উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ম্লান করে দিচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব কাজের স্বচ্ছতার প্রশ্নের জবাবের জবাবদিহিতা বা দায়বদ্ধতা আছে বলেই মনে হয় না। অনেকেরি বক্তব্য কিছু দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তার কারনে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা পানির স্রোতের সাথে ভেসে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, কোলা গ্রামের পুরাতন জামে মসজিদ সংলগ্ন ২শত ৬০মিটার, ঝাপালিয়া খেয়াঘাট এলাকায় ৩শত মিটার ও সনাতনকাটিতে ৪শত মিটির ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাসহ একাধিক এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে। পুরাতন মসজিদ এলাকায় ২৬০মিটার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে একেবারে বেড়িবাঁধের গোড়া থেকে বালু মিশ্রিত মাটি দিয়ে দায়সারা ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। স্থানীয় সচেতন মহলের বক্তব্য কাজের স্বচ্ছতা তো দুরের কথা তারা এখনও জানতে সক্ষম হননি বেড়িবাঁধের মাথা, স্লোব ও উচ্চতা কত ফুট। জানাগেছে, এ কাজটি সাব কন্ট্রাক্টর হিসেবে দেখা শুনা করছেন স্থানীয় জৈনক নজীর উদ্দীন। ঝাপালিয়া খেয়াঘাট এলাকায় ৩শত মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণে অধিকাংশ মাটি নেয়া হয়েছে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের একেবারে পাশ থেকে। এসকল বেড়িবাঁধ নির্মাণে স্থানীয়দের আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও রাব্বি বালু মিশ্রিত মাটি নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং অন্য বেড়িবাঁধের পাশ থেকে মাটি কাটা হয়নি বলে দাবি করেন। এছাড়া অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে সনাতনকাটির ৪শত মিটার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ স্থানীয়রা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানাগেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা এস ও আলমগীর হোসেন জানান, জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। নদীর পানি কমে গেলে ফিনিশিং দিয়ে কাজ শেষ করা হবে। এর বাহিরেও প্রতাপনগরের একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলমান আছে। স্থানীয়দের ধারনা যেহেতু কাজের স্বচ্ছতা বা জবাবদিহিতার প্রয়োজন নেই সেহেতু প্রত্যেকটি সংস্কার কাজে কম-বেশি অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে।