দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী মুখে হামাস নির্মূলে ও ধ্বংসে গাজায় অভিযান ও হত্যাকান্ড পরিচালনা করলেও দৃশ্যত ঃ তাদের প্রকৃত লক্ষ ও উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদেরকে নির্মূল ও নিশ্চিহৃ করা আর এই লক্ষ্য নিয়েই দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিীনিদেরকে নির্বিচারে নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করে চলেছে ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যার মাধ্যমেই কেবলমাত্র ফিলিস্তিনি শুন্য করার অভিপ্রায়। এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করছে না এবং পক্ষান্তরে দখলদার সেনারাও হতাহতের শিকার হচ্ছে না। ইসরাইলি সরকার এবং দখলকার বাহিনী সর্বপরি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গভীর ভাবে বিশ্বাস করে যে ফিলিস্তিনিরা হামাসের পরিপূর্ণ সমর্থক বলা যেতে পারে প্রতিজন ফিলিস্তিনি একেক জন হামাস। একজন ফিলিস্তিনি হত্যার শিকার হলে প্রতি মুহুর্তে সৃষ্টি হচ্ছে হামাস সদস্যরা। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে নিরীহ এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যা করলেও গত নয় মাসের ব্যবধানে হামাসকে ধ্বংস, হামাসের সুড়ঙ্গ ধ্বংসেরদাবী করলেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাসের হাতে বন্দী ইসরাইলি সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদেরকে উদ্ধার করতে পারেনি। কিন্তু তারা প্রতিনিয়ত বলেই চলেছে হামাসকে ধ্বংসকরা হয়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পুরো গাজা উপত্যকাকে মৃত্যু পুরীতে পরিনত করেছে। গাজার এমন কোন এলাকা নেই যে এলাকাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেনি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বসত বাড়ী ধ্বংস স্তুপে পরিনত করেনি। বসতবাড়ী হারানো ফিলিস্তিনিরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে একের পর এক হামলা পরিচালনায় রত ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা মৃত্যু পুরীতে পরিনত হওয়ায় এক ধরনের শ্মশানে পরিনত হয়েছে। এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা যুদ্ধে অনীহা প্রকাশ করেছে। অধিকাংশ ইসরাইলি সেনারা গাজা যুদ্ধ বন্ধ চাইছে তারা তাদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় গাজা যুদ্ধকে দায়ী করে চলেছে। ইসরাইলি সেনা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দের বহিঃপ্রকশ হিসেবে দেখছে ইসরাইলি সরকার, গাজা যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করনের লক্ষে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থায় যে চুক্তি হতে যাচ্ছিল তা দৃশ্যতঃ আলোর মুখনা দেখায় ইসরাইলি সেনাদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আর তাদের ক্ষোভের অন্যতম কারন ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা অবগত হয়েছে যে হামাস যুদ্ধ বিরতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে ছিলো এদিকে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইল একে অপরের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে যে কারনে লেবানন ও ইসরাইল একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান করছে। দখলদার ইসরাইলি সেনারা বারবার হামাসের কৌশলের ফাঁদে আটকা পড়ছে গতকালও রাফা শহরে হামাসের কৌশলী হামলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দখলদার সেনা হতাহতের শিকার হয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথেতার মন্ত্রী সভার সদস্যদের সম্পর্ক নেতিবাচক কোন অবস্থাতেই তাদের মধ্যকার সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। রাফা শহরের দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করলেও বর্তমান সময়ে রাফা শহরে দখলদার ইসরাইলি সেনারা চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখোমুখি অবস্থানে অবস্থান করছে। এদিকে হামাস সদস্যরা যে কোন সময়ে ইসরাইলের অভ্যন্তরে অথবা গাজার অবস্থানরত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উপর বড় ধরনের হামলা পরিচালনা করতে পারে আর এমন আশঙ্কা খোদ ইসরাইলি সরকারের। এদিকে রাফা ক্রসিং দিয়ে ফিলিস্তিনিদের জন্য সরবরাহ করা ত্রান প্রবেশেবাঁধা দিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা, যে কারনে গাজার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে দুর্ভিক্ষ।