এম এম নুর আলম \ আশাশুনি উপজেলার কুল্যা টু দরগাহপুর (বাঁকা) সড়কের কয়েকটি স্থানের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলের সময় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ইতিমধ্যে ঐসব নাজুক স্থানের কুল্যা অংশে কুল্যা ইউপির নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান কর্তৃক আদলা ইট দিয়ে কিছুটা চলাচলের উপযোগি করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর একটি হল কুল্যা টু দরগাহপুর (বাঁকা) সড়ক। উপজেলার কুল্যা, কাদাকাটি, দরগাহপুর, বড়দল, আনুলিয়া, খাজরা ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের মানুষের জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের রাস্তা এটি। এছাড়া খুলনার পাইকগাছা, কয়রা ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মানুষও চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। ফলে সড়কটি বর্তমানে খুবই ব্যস্ত ও প্রয়োজনীয় সড়কে রূপ নিয়েছে। সড়কটি চওড়ার সংকীর্ণতার ফলে যানবাহন ওভার টেকিং এর সময় সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। একটি বাস, ট্রাক বা মাইক্রো সড়কে ঢুকলে অন্য যানবাহন ওভার টেকিং খুবই সময় সাপেক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। তাছাড়া সড়কে চওড়া সংকীর্ণতার কারণে দু’টি যানবাহনের ক্রসিং ও ওভার টেকিং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। এদিকে, সড়কের অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে রাস্তার উপরের অংশ উঠে গিয়ে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কুল্যা থেকে দরগাহপুর পর্যন্ত সড়কটির কুল্যার মোড় এলাকা, রাইচ মিল সংলগ্ন এলাকায়, গুনাকরকাটি ব্রীজের দু’পাশের এলাকা, গুনাকরকাটি বটতলা, বাহাদুরপুর ‘স’ মিল ও পরিষদ সংলগ্ন এলাকায়, বাহাদুরপুর উত্তরপাড়া সংলগ্ন এলাকায়, কচুয়া দুই শিশুতলা এলাকায়, হামকুড়া ‘স’ মিল সংলগ্ন এলাকায়, কাদাকাটি বাজারের শেষ অংশ হতে কাদাকাটি ফুটবল মাঠ সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত, হলদেপোতা থেকে শ্রীধরপুর মোড়ের কিছু অংশ এবং দরগাহপুর এলাকায় সড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ পাথর উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত যানবাহন আটকে যাচ্ছে, বা দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মাহিন্দ্র, ইজিবাইক, নসিমন, মটরসাইকেল, মটরভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। এ রাস্তাটির সাথে এলাকার মানুষের জীবন জীবিকা ও উন্নয়ন যেমন জড়িত, তেমনি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিও জড়িত। এসব ইউনিয়নের একটি বৃহৎ এলাকা জুড়ে রপ্তাণীযোগ্য বাগদা, গলদা চিংড়ীসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ (রুই, কাতলা, পারশে, ভেটকী ইত্যাদি) উৎপাদিত হয়ে থাকে। প্রতিদিন কুল্যা-দরগাহপুর সড়ক দিয়ে পরিবহন যোগে উৎপাদিত এ মাছ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পরিবহন ও বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। এ রাস্তাটি ব্যবহার করে প্রতি বছর মোটা অংকের রাজস্ব আয়সহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়ে থাকে। এমতাবস্থায় সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার পূর্বক এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।