এফএনএস স্পোর্টস: আতালান্তাকে হারিয়ে নিজেদের কাজটুকু সেরে রেখেছিল এসি মিলান। তাকিয়ে ছিল ইন্টার মিলানের ম্যাচের দিকে, আশায় ছিল নগর প্রতিদ্ব›দ্বীদের হোঁচটের। কিন্তু কাইয়ারিকে হারিয়ে সেরি আর রোমাঞ্চকর শিরোপা লড়াই শেষ রাউন্ডে টেনে নিল সিমোনে ইনজাগির দল। লাউতারো মার্তিনেসের জোড়া গোলে প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে ইন্টার মিলান। শুরুতে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন মাত্তেও দারমেইন। সান সিরোয় রোববারই আতালান্তার বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতে এসি মিলান। দুটি গোলই তারা পায় দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৭তম মিনিটে রাফায়েল লেয়াও দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ৭৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন থিও এরনঁদেজ। কাইয়ারির বিপক্ষে ইন্টার হারলে বা ড্র করলে ৩৭ ম্যাচে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মিলান শিরোপা উৎসব সেরে নিতে পারত। কিন্তু দারুণ জয়ে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে নিজেদের আশাও বাঁচিয়ে রাখল ইনজাগির দল। দুই দলের বাকি একটি করে ম্যাচ। ২৫তম মিনিটে দারমেইনের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার। বাঁ দিক থেকে দূরপালার আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান ইভান পেরিসিচ, অনেকটা লাফিয়ে উঠে নেওয়া হেডে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন দারমেইন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ভাগ্যকে পাশে পাননি মার্তিনেস। আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ডের শরীর ঘুরিয়ে নেওয়া বাঁ পায়ের ভলি প্রতিহত হয় পোস্টে, এরপর তার ফিরতি শট ফেরান গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইন্টার। সতীর্থের লং পাস সঙ্গে লেগে থাকা এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন মার্তিনেস। এরপর ডান পায়ের বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এর দুই মিনিট পরই ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পায় কাইয়ারি। বক্সের বেশ বাইরে থেকে জোরাল কোনাকুনি শটে দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করেন চারালামপোস লাইকোগিন্নিস। ৮৪তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাসে মার্তিনেসের নিখুঁত টোকায় বল জালে জড়ালে জয়টা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইন্টারের। অপেক্ষা এবার শেষ রাউন্ডের। আগামী ২২ মে সাস্সুয়োলোর মুখোমুখি হবে এসি মিলান। একই সময়ে ইন্টার ঘরের মাঠে খেলবে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে।