এফএনএস বিদেশ: পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদে জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) সভাপতি শাহবাজ শরিফ বলেছেন, আমরা কোনো প্রতিশোধ নেব না। কোনো নিরপরাধ মানুষকে জেলে পাঠানো হবে না। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর পার্লামেন্টে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর জিও নিউজ ও আল জাজিরার। শাহবাজ শরিফ বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের সম্মান একইরকম বহাল থাকবে। জাতির ক্ষত সারিয়ে তুলতে চাই। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এর মধ্য দিয়ে পতন হয়েছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারেরও। এজন্য নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হচ্ছে। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য আগামীকাল সোমবার পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের নমিনেশন পেপার গতকাল রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন ভারপ্রাপ্ত স্পিকার আয়াজ সাদিক। খবর জিও নিউজ ও আল জাজিরার। এই প্রথম দেশটির কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেন। এর আগে ১৯৮৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও ২০০৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। তবে উভয়েই সেই ভোটে জিতে ক্ষমতায় টিকে গিয়েছিলেন। ইমরান খান ২০১৮ সালে সামরিক সাপোর্টে ক্ষমতায় এসেছিলেন। পারমানবিক শক্তিধর দেশটির ক্ষমতায় তিন বছর তিনি ছিলেন। স¤প্রতি তার জোটের সদ্যরা তাকে ত্যাগ করলে তিনি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সামরিক সমর্থন হারানোরই নামান্তর। ৭৫ বছরের ইতিহাসে প্রায় অর্ধ শতাব্দীই সামরিক শাসন চলেছে পাকিস্তানে। এখনো পর্যন্ত দেশটির কোনো নির্বাচিত সরকার তার মেয়াদ পূরণ করতে পারেনি।